সহকর্মীর সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে অফিসের নীতিমালা জেনে নিন।
আমরা যাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করি, তাঁদের দিনের বড় একটি অংশ সহকর্মীদের সঙ্গেই কাটে। আসা–যাওয়া আর ঘুমের সময়টুকু বাদ দিলে দেখা যাবে, পরিবারের সদস্যদের চেয়ে তাঁদের সঙ্গেই কাটছে বেশি সময়। স্বাভাবিকভাবেই সহকর্মীদের সঙ্গে একধরনের সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়, তাঁরা হয়ে ওঠেন বন্ধু, মনের কথা ভাগ করে নেওয়ার সঙ্গী। কখনো কখনো এই সম্পর্ক পেশাগত সীমারেখাও ছাড়িয়ে যায়।প্রশ্ন হলো, সহকর্মীদের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে এই সীমারেখা কোথায় টানতে হবে?
অফিসে বা বাইরে বিপরীত লিঙ্গের সহকর্মীর সঙ্গে কোন কথাটা বলা যাবে, কোন ঠাট্টাটা করা যাবে, মোটের ওপর কতটা মেলামেশা করা যাবে?সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে কোল্ডপ্লের কনসার্ট দেখতে গিয়ে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ক্যামেরায় ধরা পড়েন মার্কিন সফটওয়্যার সংস্থা অ্যাস্ট্রোনোমার প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি বায়রন ও সংস্থাটির এইচআর প্রধান ক্রিস্টিন ক্যাবট। যাঁদের দুজনেরই রয়েছে আলাদা পরিবার। তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অফিসের ক্ষেত্রে সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে, একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্যের সম্পর্ক নৈতিকতার কোন মানদণ্ড মেনে চলবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
সহকর্মীর সঙ্গে কেমন আচরণ করবেন সেসব নিয়ে প্রতিটি ভালো অফিসেই আচরণবিধি থাকে।
সাধারণত এ নিয়ম বা আচরণবিধি তৈরি করে মানবসম্পদ বিভাগ। প্রতিষ্ঠান কী চায়, প্রতিষ্ঠান কেমন সংস্কৃতিতে চলবে, সেখানে কেমন কর্মপরিবেশ গড়ে তোলা হবে, তার সবকিছুই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তৈরি করা হয়।
সেই নিয়মের মধ্যেই থাকবে—আপনি আপনার সহকর্মীর সঙ্গে কেমন আচরণ করবেন, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হলে তা কতটুকু হবে কিংবা নারী-পুরুষনির্বিশেষ সবার সঙ্গে আপনার আচরণ কেমন হবে।
এমনকি এই আচরণবিধি মেনে না চললে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটিও স্পষ্ট করা থাকে।এক মানবসম্পদ পেশাজীবী বলেন, যখন কোনো পদের জন্য কর্মী নিয়োগ করা হয়, তখন শুধু যে তাঁর দক্ষতা দেখা হয়, তা নয়; তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের সংস্কৃতি ও পরিবেশের সঙ্গে মানানসই হবেন কি না, তাঁর মূল্যবোধ আর প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধ মিলবে কি না, সে বিষয়েও খেয়াল রাখা হয়।