প্রায় দুই সপ্তাহের সংঘাতের পর ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। দুই দেশের সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে সেই খবর। যদিও যুদ্ধবিরতির সময় ও শর্ত নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ইসরায়েল ও ইরান একটি ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। খবর আল জাজিরা, বিবিসি, সিএনএনের।
সিএনএন বলছে, ইরান ও ইসরায়েলের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে এই যুদ্ধবিরতি ঠিক কখন এবং কী শর্তে শুরু হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে একটি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। তিনি জানান— এটি ঘোষণার প্রায় ছয় ঘণ্টা পর কার্যকর হবে। তার হিসাবে, রাত ১২টা (ইস্টার্ন টাইম) নাগাদ যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা।
এর ঠিক কিছু সময় পর ইরানি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম প্রেস টিভি শিরোনামে জানায়, ইসরায়েল অধিকৃত এলাকায় ইরানের চার দফা হামলার পর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক লাইনের বার্তায় জানায়, যুদ্ধবিরতি এখন বাস্তবায়নের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২ ও ওয়াইনেট জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। তবে ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া একধাপ এগিয়ে দাবি করেছে, এই যুদ্ধবিরতি ‘শত্রুর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে’, যদিও সুনির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেনি তারা।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বা সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি। তবে ইসরায়েল যদি তেহরানের স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোর ৪টার মধ্যে ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে তাদের অবৈধ হামলা বন্ধ করে, তাহলে আমরা আর পাল্টা হামলা চালিয়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা রাখি না।
যদিও আজ মঙ্গলবার ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলেছে। ইসরায়েলের হামলায় ইরানে এক পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন তিনজন।
এদিকে ইসরায়েল-ইরানের গণমাধ্যমেও যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে বলে জানানো হলেও ইসরায়েল সরকার এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, ফলে দ্বিধা ও অনিশ্চয়তা এখন কাটেনি।