চাচার চাঁদাবাজির কাহিনি জানাতে সাংবাদিকদের ডাকলেন ২ ভাতিজি

বরিশালে পদ হারানো ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক সাগর উদ্দিন মন্টির চাঁদাবাজির ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছেন তার আপন দুই ভাতিজি। 

সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে চাচার চাঁদাবাজির ঘটনা প্রকাশ্যে আনেন তারা।বিএনপি নেতা মন্টির ভাইয়ের মেয়ে শারমিন জাহান জানান, এমনকি চাঁদা না দেওয়ায় স্ত্রী সহকারে গিয়ে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও মারধর চালান তিনি।

শারমিন জাহান বলেন, ফরায়েজ আইন মোতাবেক পরিবারের মধ্যে দাদার সম্পত্তি ভাগবাটোয়ারা হয়ে গেছে। আমার বাবা ১৯৯৫ সালে মারা যান। আপন ছোট চাচা সাগর উদ্দিন মন্টিকে ভাগ বুঝিয়ে দেওয়ার পরও এখন পুরো সম্পত্তি আত্মসাতের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। পৈতৃক সূত্রে আমরা দুই বোন সোয়া ১ শতাংশ জমি পাই। ওই জমির ওপর নির্মিত ভবনের নীচ তলায় একটি জুস বার এবং ২য় তলায় ব্যাংক রয়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠানের ভাড়ার চুক্তিপত্র অনুযায়ী আমরা দুই বোন মাসিক ভাড়া পাই। আমার বাবার ছেলে সন্তান না থাকায় ৩ ফুফু ও ছোট চাচা মো. সাগর উদ্দিন মন্টি ফরায়েজের দাবি করলে তাদেরকে ফরায়েজ আইন মোতাবেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভাড়ার টাকা কর্তন করে তাদের অংশের টাকা প্রতি মাসে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, আমার ছোট চাচা ১৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন। তবে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজির কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি বেপোরোয়া হয়ে উঠেন। তার বিরুদ্ধে আগেই চাঁদাবাজির অভিযোগে থানায় একাধিক অভিযোগ ও মামলা রয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময়ে অংশীদারি ভাড়ার চেয়েও বেশি আমাদের কাছ থেকে দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিতেন। সম্প্রতি টাকা চাওয়াটা প্রায় নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। টাকা না দিলে নানাভাবে ঝামেলা সৃষ্টি করছেন। আমাদের দুই বোনের নামে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

শারমিন অভিযোগ করেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নতুন ভাড়াটিয়া ওঠায় সেখান থেকেও তাকে ১ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এরপর নানা অজুহাতে ৫ হাজার টাকা, ১০ হাজার টাকা ও ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। এসব টাকা ফেরত চাওয়ায় আমাদের দুই বোনকে বাসায় ডেকে নিয়ে মারধর করেছে। আমার ছোট চাচার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় চাঁদাবাজি মামলা করেছি। সর্বশেষ গত সপ্তাহে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে আমাদের মারধর করেছে পুলিশের সামনেই। এ ঘটনায়ও আমরা মামলা করেছি।

তিনি বলেন, আমরা এতিম। চাচার উচিত ছিল বাবার স্নেহে আমাদের আগলে রাখার। কিন্তু তিনি আমাদের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমরা তার অত্যাচার থেকে বাঁচতে চাই।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সাগর উদ্দিন মন্টির মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

Share this post:

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *