চেলসির হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে নতুন মাইলফলক গড়েছেন এনজো ফার্নান্দেজ। ব্যক্তিগত ও দলীয় এ অর্জনের পর কান্নায় ভাসতে দেখা গেছে তাঁকে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফাইনাল জিততে চান, তবে এনজো ফার্নান্দেজকে দলে নিন। এনজো ফার্নান্দেজ মানেই যেন বৈশ্বিক বা মহাদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনাল জয়। ঘরোয়া পরিসরের বাইরে বৈশ্বিক ও মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ছয়বার ফাইনালে উঠেছেন ফার্নান্দেজ, যার প্রতিটিতে জিতেছে তাঁর দল। সর্বশেষ ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পিএসজিকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে ফার্নান্দেজের দল চেলসি।
ফার্নান্দেজ প্রথম আন্তর্জাতিক ফাইনাল খেলেন ২০২০ সালের কোপা সুদামেরিকানায়। কনমেবল আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় জাস্টিকার হয়ে শিরোপা জেতেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার। এরপর একই দলের হয়ে কনমেবল আয়োজিত আরেকটি টুর্নামেন্ট রিকোপাতেও শিরোপা জেতেন ফার্নান্দেজ।তারপর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ২০২২ সালে কাতারে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতেন ফার্নান্দেজ। তাঁর চতুর্থ ট্রফিটি আসে গত বছরের কোপা আমেরিকায়। এটি আর্জেন্টিনার হয়ে তাঁর দ্বিতীয় শিরোপা।
চলতি বছর চেলসির হয়ে দুটি আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতলেন ফার্নান্দেজ। প্রথমে জিতেছেন উয়েফা কনফারেন্স লিগ। সর্বশেষ গতকাল জিতলেন ক্লাব বিশ্বকাপ।ফাইনালে নিজেকে অপ্রতিরোধ্য প্রমাণের পাশাপাশি আরও একটি অনন্য অর্জন যুক্ত হয়েছে ফার্নান্দেজের নামের পাশে। পৃথিবীতে তিনিই এখন একমাত্র ফুটবলার, যিনি ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে পরবর্তী ম্যাচগুলোতে বুকে ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্যাজ’ পরে খেলবেন।এর আগে ফিফার ঘোষণায় জানানো হয়, ৩২ দল নিয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ক্লাব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ক্লাব আগামী ৪ বছরের জন্য নিজেদের জার্সিতে বিশেষ বিজয়ী ব্যাজ পরবে। অর্থাৎ চেলসিতে থাকলে আগামী ২০২৯ সাল পর্যন্ত এই ব্যাজ পরে খেলবেন ফার্নান্দেজ।
আর ২০২২ সালে বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে আর্জেন্টিনার হয়েও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের ব্যাজ পরে খেলতে নামছেন তিনি। অন্তত ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে এ ব্যাজ পরতে পারবেন তিনি। ফলে এ মুহূর্তে দুই বিশ্বকাপ জেতা একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে বিরল এ অভিজ্ঞতা লাভ করতে যাচ্ছেন ফার্নান্দেজ।ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনাল শেষে চোখের পানি আড়াল করতে পারেননি ফার্নান্দেজ। গতকাল রাতে ম্যাচ শেষে অঝোরে কেঁদেছেন তিনি।
এ সময় সতীর্থদের এগিয়ে এসে তাঁকে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায়।তাঁর কান্নাই বলে দিচ্ছিল, চেলসির হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ জিততে কতটা উন্মুখ ছিলেন। নিজের আবেগতাড়িত হয়ে পড়া নিয়ে এই মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘আমি আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছি; কারণ, ব্যক্তিগত পর্যায়ে এটা দারুণ কিছু। সে কারণে আমি মূলত কান্না করেছি।’