নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশের সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন ও অব্যাহত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করতে জাতিসংঘের কাছে দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। এই দাবির সমর্থনে জাতিসংঘের বাংলাদেশ দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদাণ করেছেন এবি পার্টির তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান লেফ. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসরীন সুলতানা (মিলি) ও নির্বাহী সদস্য ইরতিকা আহমেদ।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১.৫০ টার সময় এবি পার্টির একটি প্রতিনিধিদল এই স্মারকলিপি দেয়। বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির পক্ষে মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ হুমা খান স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে নাসরীন সুলতানা বলেন, দেশজুড়ে ছাত্রলীগের হাতে নারী নির্যাতন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে গেস্টরুমে অমানবিক জুলুম, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে প্যারামিলিশায়ার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল, বিশেষ করে চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলাসহ সব অপরাধ এক জায়গায় আনলে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের ব্যাপক মিল খুঁজে পাওয়া যায়। জাতিসংঘের দপ্তরে এ সবকিছু তুলে ধরে ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে।
এবি পার্টির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান বলেন, এই ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন করার পরও দেশে বা বিদেশে নিরাপদে বসে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দেশের বিরুদ্ধে যাতে করে কোন প্রকার ষড়যন্ত্র করতে না পারে, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাওয়ার এটাই অন্যতম কারণ।
নাসরীন সুলতানা আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল আমাদের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শুনেছেন, স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।