জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ অনার্স ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানউল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য জানান, এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৫,৬০,৫৯৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪,৬০,৭০৬ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ৩৩.২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ৫০-এর বেশি নম্বর পেয়েছেন, আর ৬৬.৭২ শতাংশ শিক্ষার্থী ৫০-এর নিচে নম্বর পেয়েছেন।

তিনি আরও জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৪,৪০,০০০টি আসন রয়েছে। যারা অনার্স কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন না, তারা পাস কোর্স, কারিগরি কোর্স ও অন্যান্য ধারায় ভর্তির সুযোগ পাবেন।

অধ্যাপক আমানউল্লাহ বলেন, আগে ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই অনার্স কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো, যা নিয়ে প্রায়ই সমালোচনা হতো যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোনো মূল্যায়ন ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। তিনি বলেন, “এখন থেকে কেউ আর বলতে পারবে না জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তি হয়।” উল্লেখ্য, গত ১০ বছরে এই প্রথমবার ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ফলাফল দেখার নিয়ম

ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল দুইভাবে জানা যাবে—জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট এবং এসএমএস-এর মাধ্যমে।

ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল দেখার পদ্ধতি:

১. http://admission.nu.edu.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
২. আপনার পিন নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।
৩. ড্যাশবোর্ড থেকে “Result” অপশন-এ ক্লিক করে ফলাফল দেখুন।
৪. আপনি চাইলে ফলাফল প্রিন্ট বা ডাউনলোড করতেও পারবেন।

এসএমএস-এর মাধ্যমে ফলাফল জানার নিয়ম:

মোবাইল ফোন থেকে NUAT <স্পেস> রোল নম্বর টাইপ করে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএস-এ ফলাফল জানিয়ে দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ভর্তি পরীক্ষা গত ৩১ মে সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দেশের ৬৪ জেলার ৮৭৯টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। এতে পাঁচ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখযোগ্য যে, ২০১৪–১৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো। তবে ২০১৫–১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে শুধুমাত্র এসএসসি ও এইচএসসি’র জিপিএ-এর ভিত্তিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হতো। দীর্ঘ আট বছর পর ফের প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষা চালু করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *