জুলাই অভ্যূত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতির জটিল সমীকরণ: বিএনপি’র সংকট, নতুন শক্তির উত্থান ও সম্ভাব্য জোটের ভবিষ্যৎ

মোঃ কাওসার আহম্মেদ (লেখক, সমাজসেবক, সম্পাদক- গনমঞ্চ নিউজ)


বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন আজ এক গভীর পরিবর্তনের মুখোমুখি। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবীতে আন্দোলনের মাধ্যমে শুরু হওয়া আন্দোলনটি অপ্রত্যাশিত গতি পেয়ে একটি বড় রাজনৈতিক উত্থানের জন্ম দিয়েছে, যা “জুলাই অভ্যূত্থান” নামে পৃথিবীব্যাপী পরিচিতি পেয়েছে। এই অভ্যূত্থানে ছাত্রদের সাথে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ ছিল অভ‚তপূর্ব।

সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ প্রথমদিকে, এই অভ্যূথানকে সরকারের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বের কথা তুললেও পরবর্তীতে এইভাবে চিহিৃত করেছে যে, এটি বৈদেশিক অর্থায়নে উগ্র ও জঙ্গী সংগঠন কর্তৃক মেটিকুলাশ ডিজাইনের মাধ্যমে পরিচালিত হত্যাযজ্ঞ। পতনের পরও তাঁরা এটিকে গণঅভূত্থান হিসেবে এখনও মেনে নেয়না।

এই অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের রাজনৈতিক সমীকরণে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে, বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বিএনপি’র ভূমিকা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে জটিল প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। একই সাথে, নির্বাচনী পদ্ধতি সংস্কার নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য ও জোট গঠনের কৌশলকে প্রভাবিত করছে।

জুলাই অভ্যুত্থান: কি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের নতুন মোড়? কোটা বিরোধী আন্দোলন দেশজুড়ে একতাবদ্ধ গণরোষে রূপ নেয়, যা ৩৬ দিনের মাথায় ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটায় এবং শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য করে। অভ্যুত্থানকালে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হাতে ১৪০০-এরও বেশি ছাত্র-জনতার প্রানহানির ঘটনা পৃথিবীতে বিরল। বাংলাদেশের সাধারণ জনগনের মধ্যে এই নিয়ে গভীর শোক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসিনা পালিয়ে যাবার পর অন্তরবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করা ও রাষ্ট্র পূর্ণ গঠনের জন্য বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করা গণআকাঙ্খার একটি প্রতিফলন ছিল।

অন্তরবর্তীকালীন সরকারের গঠিত জাতীয় ঐক্যমত কমিশন, সংবিধান সংস্কার কমিশন সহ জুলাই অভ্যুত্থানে ঘটে যাওয়া গণহত্যার বিচার এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মতো মৌলিক দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন মোড় নেবে কিনা সেটা এখনও বলা যাচ্ছে না।

তবে, জনগন ও অভ্যূত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া দলগুলোর কাছে এই অভ্যুত্থান শুধু ক্ষমতার পালাবদলই নয়, বরং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নতুন প্রজন্মের তরুণ শক্তির উত্থানেরও প্রতীক। এটি বাস্তবায়নের পক্ষে জোড়ালো পদক্ষেপ নিতে মরিয়া অভ্যূত্থানের নেতৃত্ব থেকে উঠে আসা রাজনৈতিক দল এনসিপি। রাজনৈতিক দল গঠনের পর এক অভ‚তপূর্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিপি। জনগনের দোরগোড়ায় পৌছানোর জন্য “দেশজুড়ে জুলাই পদযাত্রা” শুরু করেছে যা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পরিবর্তন ও জনসমর্থনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মনে করছেন অনেকে।

বিএনপি’র ক্রমাগত সংকট: জনপ্রিয়তার পতন ও অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা; বাংলাদেশের পরিবর্তিত এই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপি প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হওয়া সত্ত্বেও, এখন গভীর সংকটের মুখোমুখি। এর মূল কারণগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়:
অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলার অভাব: জুলাই-পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে দলীয় কর্মীদের দ্বারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দলীয় কোন্দলে জড়িত হয়ে নিজেরা নিজেরাই খুনের মতো ঘটনায় জড়িত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দলীয় নেতৃত্বে থাকা ব্যাক্তিদের এই কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা দলের ভাবমূর্তিকে ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন করেছে। সাধারণ মানুষ বিএনপিকে একটি সুসংগঠিত ও শৃঙ্খলাবদ্ধ বিকল্প হিসেবে দেখতে চায়, যা বর্তমানে কোনভাবেই প্রতিফলিত হচ্ছে না।

নতুন রাজনৈতিক শক্তির চ্যালেঞ্জ: জুলাই অভ্যুত্থান থেকে উদ্ভুত ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল “এনসিপি’র” রাজনৈতিক শক্তি দ্রুত জনসমর্থন অর্জন করছে। তাদের তরুণ, সংগ্রামী ও পরিবর্তনে নতুনত্ব প্রত্যাশী চিত্র এবং জুলাই অভ্যুত্থানের নৈতিক দাবিকে ধারণ করায় তারা বিএনপির ঐতিহ্যগত সমর্থক ভিত্তি, বিশেষ করে তরুণ ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে প্রবেশ করতে সক্ষম হচ্ছে। এই নতুন শক্তির উত্থান বিএনপির জন্য একটি বড় হুমকি হিসেবে বিএনপি নিজেরাই তাদের ব্যক্তব্যে ফুটিয়ে তুলছে, যা তাদের রাজনৈতিক প্রাসাদে ফাটল ধরিয়েছে।

কৌশলগত অনিশ্চয়তা: অন্তরবর্তীকালীন সরকার ও জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের প্রক্রিয়ায় বিএনপির অবস্থান এবং দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক কৌশল পরিবর্তন নেই, তাছাড়া বিদ্যমান সংবিধানকে প্রাধান্য দেওয়া। দলের অভ্যন্তরীণ নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনা নিয়ে বিভক্তি দৃশ্যমান। দলীয় প্রধানের দিকনির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে কেউ আমলে নিচ্ছে না। এই সম্মিলিত কারণে বিএনপির জনপ্রিয়তা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞ মহল ও জনগনের মতামতে উঠে আসছে।

নির্বাচনী পদ্ধতি সংস্কার: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করা। এখানেই দেখা দিয়েছে তীব্র মতপার্থক্য; বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফতে মজলিস, গণ অধিকার পরিষদ, এবি পার্টি, এনসিপি সহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে। তাদের যুক্তি, এই পদ্ধতি ছোট ও মাঝারি দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব বাড়াবে, জোট রাজনীতিকে উৎসাহিত করবে এবং সরকার গঠনে বিস্তৃত ঐক্য তৈরী করবে। এটি একটি অন্তরভূক্তিমূলক রাজনীতির পথ প্রশস্ত করবে।

বিএনপির বিরোধিতা: বিএনপি এবং সম্ভবত কিছু অন্যান্য দল পিআর পদ্ধতির ঘোর বিরোধী। তাদের আশঙ্কা, এই পদ্ধতি বড় দলগুলোর (বিশেষ করে আওয়ামী লীগের, যদি তারা কোনভাবে সংগঠিত হয়ে থাকে) প্রভাব আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। যা নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামীলীগ এর দলীয় নেতৃত্বের ছায়া সংসদের প্রতিনিধিত্বে উঠে আসতে পারে। বিএনপির ঐতিহ্যগত শক্তি হিসেবে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে, যা পিআর পদ্ধতিতে কঠিন হবে। তাঁদের বক্তব্য যাদের জনসর্মথন নেই তারাই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়।
জোটের ভবিষ্যৎ ও বিএনপির সম্ভাবনা: সংখ্যাগরিষ্ঠতা কি আদৌ সম্ভব? “বিএনপি ও কয়েকটি বামদলগুলো ছাড়া” প্রায় অধিকাংশ ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, পিআর পদ্ধতি বাদ দিলেও যদি বিএনপি ছাড়া অন্য দলগুলো (বিশেষ করে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, গণ অধিকার পরিষদ, এবি পার্টি এবং ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয় ছাত্রদের নেতৃত্বে উঠে আসা রাজনৈতিক দল এনসিপি নিজেদের মধ্যে একটি শক্তিশালী জোট গঠন করে, তাহলে কি বিএনপি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে সক্ষম হবে?

বিএনপির পক্ষে যুক্তি: বিএনপি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ও সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা সংগঠন। তাদের একটি সুগঠিত কাঠামো এবং ঐতিহ্যগত সমর্থক ভিত্তি রয়েছে। যদি বিরোধীদলগেুলোর ভোট বিভাজিত হয় এবং সুইং ভোটগুলো প্রাপ্ত হয় বিএনপি তার ঐতিহ্যগত শক্ত ঘাঁটিগুলোতে ভালোভাবে সংগঠিত থাকে, তাহলে তারা একক বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে, এমনকি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও। তাদের মূল চ্যালেঞ্জ হবে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং জনগনের আস্থা পুনরুদ্ধার করা।

বিপক্ষ জোটের সম্ভাবনা: জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী রাজনৈতিক আবহে এনসিপির “জুলাই পদযাত্রা’র মাধ্যমে সৃষ্ট জনসমর্থন ও নতুন শক্তি এবং ইসলামপন্থী ও অন্যান্য ছোট-বড় দলগুলোর মধ্যে যদি বিএনপিবিহীন একটি শক্তিশালী জোট গড়ে ওঠে, যা জুলাই সনদ ও মৌলিক সংস্কারের প্লাটফর্মকে ধারণ করে, তাহলে সেই জোট একটি অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে পরিণত হতে পারে। এই জোট বিএনপির ঐতিহ্যগত ভোট ব্যাংককেও চ্যালেঞ্জ করবে এবং তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। বিশেষ করে নতুন তরুণ ভোটাররা বিএনপির চেয়ে এই জোট বা নতুন শক্তির দিকেই বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে।

দ্বিমুখী কৌশল: বিএনপিকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা: জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, রাজনৈতিক দলগুলো কি বিএনপিকে “ঘিরে ফেলার” জন্য একটি দ্বিমুখী কৌশল অবলম্বন করছে? পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে: বিএনপির বিরোধিতা সত্ত্বেও অধিকাংশ দল পিআর পদ্ধতির পক্ষে জোড়ালো অবস্থান নিচ্ছে। এটি যদি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে বিএনপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাদেরকে বাধ্য হয়েই ছোট দলগুলোর সাথে জোট করতে হবে, যার ফলে তাদের দলীয় এজেন্ডা ও নীতিতে আপস করতে হতে পারে।

বিকল্প জোট গঠনের মাধ্যমে: পিআর পদ্ধতি না হলেও, বিএনপি ছাড়া অন্য দলগুলো যদি একটি শক্তিশালী ও কার্যকর জোট গঠনে সফল হয়, বিশেষ করে “জুলাই অভ্যূত্থানের শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে, তা সরাসরি বিএনপিকে চ্যালেঞ্জ করবে এবং তাদের ভোট ভাগ করে দেবে। এই জোট যদি বিএনপির সমালোচিত অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও দুর্বলতা এবং জুলাই-পরবর্তী সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়, তাহলে তা বিএনপির সমর্থকদের মধ্যেও প্রভাব ফেলতে পারে। এই দ্বৈত চাপ (পিআর পদ্ধতির চাপ এবং একটি শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দী জোটের সম্ভাবনা) বিএনপিকে কৌশলগতভাবে সংকটে ফেলেছে। তাদেরকে হয় পিআর পদ্ধতির সাথে আপস করতে হবে এবং জোট রাজনীতির জন্য প্রস্তুত হতে হবে, নয়তো এককভাবে লড়াই করে একটি সম্ভাব্য শক্তিশালী বহুদলীয় জোটের মুখোমুখি হতে হবে।

অনিশ্চয়তা ও সম্ভাবনার ক্রসরোডে বিএনপি; যেটি বারবার দলীয় প্রধানের বক্তব্যে স্পষ্ট। জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতির এক চরম অনিশ্চয়তা ও গতিশীলতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে যদিও বিএনপি নির্বাচনের জন্য জোড়ালোভাবে ক্রমাগত সরকারে উপর চাঁপ সৃষ্টি করছে। বিএনপি, একসময়ের প্রধান বিরোধী শক্তি, তার অভ্যন্তরীণ সংকট, নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান এবং নির্বাচনী পদ্ধতি সংস্কার নিয়ে অনড় অবস্থানের কারণে মারাত্মক চাপের মুখে রয়েছে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা তাদের জন্য এখন একটি কঠিন লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে লক্ষ্য বাস্তবায়ন সম্ভব হবে যদি দ্রুততার সঙ্গে অভ্যন্তরীন কোন্দল ও দলীয় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারে।

পক্ষান্তরে, নতুন রাজনৈতিক শক্তি এনসিপি এবং অন্যান্য ইসলামপন্থী ছোট-বড় দলগুলোর মধ্যে জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা একটি নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের জন্ম দিতে পারে। পিআর পদ্ধতি চালু হলে এই জোটের সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হবে। জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সাফল্য এবং একটি গ্রহণযোগ্য অর্ন্তরবর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রণমূলক নির্বাচনই পারে এই অনিশ্চয়তা দূর করে দেশকে স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে। বাংলাদেশের রাজনীতি আসলেই আজ এক ক্রসরোডে দাঁড়িয়ে। আগামী দিনগুলোই নির্ধারণ করবে, জুলাই অভ্যুত্থানের প্রত্যাশিত পরিবর্তনের পথে কোন রাজনৈতিক শক্তি বা জোট জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠতে সক্ষম হবে। বিএনপির ভবিষ্যৎ এবং প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, এই উত্তরণের উপরই নির্ভর করছে।

Share this post:

Tagged:

2 thoughts on “জুলাই অভ্যূত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতির জটিল সমীকরণ: বিএনপি’র সংকট, নতুন শক্তির উত্থান ও সম্ভাব্য জোটের ভবিষ্যৎ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *