সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, এ কে এম সরওয়ার জাহান বাদশা ও কাজী মনিরুল ইসলাম মনু—এ তিনজনসহ পুলিশের দুইজন সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জুলাই আন্দোলন-সংক্রান্ত নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। রাজধানীর তিনটি ভিন্ন থানায় দায়ের করা পৃথক মামলাগুলোর ভিত্তিতে এই গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ দিলরুবা আফরোজ তিথি আজ (৩০ জুলাই) সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোতে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেন। অন্যান্য দুই অভিযুক্ত হলেন পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) রফিকুল ইসলাম ও সাবেক ওসি (জতরাবাড়ী থানা) আবুল হাসান।
মামলার নথি অনুযায়ী, কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা ৬টি পৃথক মামলায় আসামি করা হয়েছে। সাবেক ওসি আবুল হাসানকে ছাত্র হাসান উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে, যা যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা হয়।
সরওয়ার জাহান বাদশার বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা সোহেল রানা হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিযোগ রয়েছে, আর সাদেক খানের বিরুদ্ধে একই থানায় দায়ের করা মো. হোসেন হত্যাকাণ্ডের মামলায় অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, রফিকুল ইসলামকে বাদ্দা থানায় দায়ের করা ইমান নামের ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সাবেক এমপি ও ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান গত বছরের ২৪ আগস্ট গ্রেপ্তার হন। কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে এ বছরের ২১ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয়। সরওয়ার জাহান বাদশা গ্রেপ্তার হন ১৭ জুন। গুলশান বিভাগের সাবেক এডিসি রফিকুল ইসলামকে গত বছরের ১৭ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরের দিন চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। সাবেক ওসি আবুল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয় গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর।