র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২৬ এর হাজির প্রজেক্ট পাহাড়ি এলাকা থেকে কুখ্যাত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মো. শফি ওরফে ডাকাত শফিকে গ্রেফতার করেছে।
গতকাল (২৮ জুলাই) গভীর রাতে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেফতারের পর পাহাড়ের গোপন আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, বিস্ফোরক ও ক্রিস্টাল মেথ (আইস) উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-১৫ জানায়, শফি (২৮) ক্যাম্প-২৬ এর সি-ব্লকের বাসিন্দা দিল মোহাম্মদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ ও অস্ত্র মামলাসহ কমপক্ষে ২১টি মামলা রয়েছে।
আজ (২৯ জুলাই) র্যাব-১৫ এর কক্সবাজার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কামরুল হাসান বলেন, এই অভিযানটি ছিল এক মাসব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারির ফল।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব ক্যাম্পের পশ্চিমের পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালায়, যেখানে শফি ও তার সহযোগীদের অবস্থানের খবর ছিল।
অভিযান চলাকালে ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করে। র্যাব ধাওয়া দিলে শফিকে আটক করা হয়। এ সময় তার সহযোগীরা তাকে ছাড়িয়ে নিতে ৪-৫ রাউন্ড গুলি চালায়। র্যাবও তিন রাউন্ড পাল্টা গুলি চালায় বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা।
শফিকে গ্রেফতারের পর পাহাড়ের গোপন আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে—
- একটি ওয়ান-শুটার গান
- দুটি সিঙ্গেল ব্যারেল শটগান
- একটি এলজি
- ১০টি অ্যান্টি-পার্সোনেল মাইন
- ১০টি ডেটোনেটর
- রাইফেলের ৫০টি জীবন্ত গুলি
- রাইফেলের ৫৩টি খালি খোসা
- শটগানের ৬টি খালি খোসা
- ৭৬৯ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ (আইস)
- তিনটি গ্রেনেড
লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল বলেন,
“শফি দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে একটি সশস্ত্র বাহিনী পরিচালনা করছিল। তারা ক্যাম্প ও আশেপাশের এলাকায় ভয়াবহ সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল, স্থানীয় ও ক্যাম্পের বাসিন্দাদের জিম্মি করে রাখত এবং বড় অংশের পাহাড়ি এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত। গ্রেফতারের পর শফিকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।