রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিক ড্রোন হামলায় কমপক্ষে তিনজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন আঞ্চলিক গভর্নররা। এই হামলাগুলো ইউক্রেন থেকে চালানো হয়েছে বলে দাবি রাশিয়ার।
পেনজা অঞ্চলে, একটি স্থানীয় প্রতিষ্ঠানে ড্রোন হামলার ফলে আগুন লাগে এবং এতে এক নারী নিহত ও দুইজন আহত হন, জানিয়েছেন গভর্নর ওলেগ মেলনিচেঙ্কো। ঘটনায় সাইটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যা সংঘাতের ব্যাপকতা বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সামারা অঞ্চলে, ধ্বংস হওয়া ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ একটি ঘরে পড়ে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং এতে এক বৃদ্ধ মারা যান বলে জানান গভর্নর ভায়াচেস্লাভ ফেডোরিশচেভ।
রোস্তভ অঞ্চলে, একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে ড্রোন হামলায় আগুন লাগার ঘটনায় এক নিরাপত্তাকর্মী নিহত হন, বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত গভর্নর ইউরি স্লিউসার। তিনি আরও জানান, সামরিক বাহিনী দ্রুত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত মোট ১১২টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে, যার মধ্যে রোস্তভ অঞ্চলে ছিল ৩৪টি। এটিকে সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম বৃহৎ ড্রোন প্রতিরোধ অভিযান হিসেবে ধরা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলেও রাশিয়ার ড্রোন হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন। অনেক ঘরবাড়ি, বিল্ডিং ও গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান গভর্নর সেরগেই লিসাক। রাশিয়ার সেনাবাহিনী অঞ্চলে অগ্রগতি দাবি করলেও ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করেছে।
চতুর্থ বছরে প্রবেশ করা এই যুদ্ধের কোনো সমাপ্তি দেখা যাচ্ছে না। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার আবারও শান্তির আহ্বান জানালেও বলেন, ইউক্রেনকে ভূখণ্ড ছাড়তে হবে এবং ন্যাটোতে যোগদানের চেষ্টা বাদ দিতে হবে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সরাসরি বৈঠকের প্রস্তাব দেন এবং বলেন, “শুধুমাত্র পুতিনই যুদ্ধ থামাতে পারেন।”
যুদ্ধের দুই পক্ষের রাজনৈতিক অবস্থান ও ড্রোন হামলার পাল্টা জবাবে নাগরিক প্রাণহানি বাড়ছে এবং সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির আশা আরও দূরে সরে যাচ্ছে।
Source: MSN