ঢাকার বায়ুর মান এখনও ‘মধ্যম’ অবস্থায় রয়েছে

বাংলাদেশের ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী ঢাকা বিশ্বের দূষিত বাতাসযুক্ত শহরের তালিকায় ১৪তম স্থানে রয়েছে। শনিবার সকাল ১০:০৯টায় শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) স্কোর ছিল ৮১।

AQI সূচক অনুযায়ী ঢাকার বায়ুকে ‘মধ্যম’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে, যা হালকা স্বাস্থ্যঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়।

যখন AQI স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর মানকে ‘মধ্যম’ ধরা হয়। এই অবস্থায় সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে শারীরিক পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকা উচিত। AQI ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ এর উপরে হলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে ধরা হয়, যা সকলের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে।

কঙ্গোর কিনশাসা, ভিয়েতনামের হ্যানয় এবং পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ১৮৮, ১৬৩ এবং ১৫৯ AQI স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

AQI হলো প্রতিদিনের বায়ুর মান নির্ধারণের একটি সূচক, যা শহরের বাতাস কতটা পরিষ্কার বা দূষিত তা জানায় এবং এর সম্ভাব্য স্বাস্থ্যপ্রভাব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে।

বাংলাদেশে AQI প্রধানত পাঁচটি দূষণকারী উপাদানের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়—PM10, PM2.5, নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড (NO2), কার্বন মনোক্সাইড (CO), সালফার ডাইঅক্সাইড (SO2) এবং ওজোন (O₃)।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণের সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে শহরের বায়ুর মান সাধারণত খারাপ হয়ে যায়, তবে বর্ষাকালে কিছুটা উন্নতি হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর বায়ু দূষণের কারণে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়। এর প্রধান কারণ হিসেবে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী রোগ, ফুসফুস ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণকে দায়ী করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *