দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে পাইকারি মুদি দোকানে সংঘটিত সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত চক্রের মূল হোতাসহ পাঁচ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলা পুলিশ। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতিতে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও লুণ্ঠিত মালামাল।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান পিপিএম-এর দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসির নেতৃত্বে গত ২২ জুলাই গাজীপুর ও আশুলিয়া এলাকায় এক যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো:
১. মোঃ নাছির উদ্দিন (৫০)
২. মোঃ মোতালেব প্রামানিক (৩৭)
৩. মোঃ শাহ আলম হোসেন প্রামানিক (২৯)
৪. মোঃ রমজান আলী (৩০)
৫. হাবিব (২৮)
এদের মধ্যে হাবিব ও শাহাবউদ্দিন ওরফে সাবুর বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি ও চুরির মামলা রয়েছে।
ভুক্তভোগী মো. কেরামত আলী জানান, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দড়িগাঁও বটতলী বাজারের কবরস্থান সংলগ্ন আল খায়ের জামে মসজিদের নিচে অবস্থিত তাঁর মুদি পণ্যের অফিসে গত ২০ জুলাই গভীর রাতে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল হানা দেয়। রাত আনুমানিক ২:৪০ টার দিকে অফিসের সিসিটিভি, লকার, টিভি, ল্যাপটপ ও নগদ টাকা লুট করে তারা।
তদন্তে জানা যায়, নাইট গার্ড আমজাদকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ডাকাতদল প্রায় ৪০ মিনিট ধরে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
- ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল
- ড্রিল মেশিন, রেঞ্জ, কোদালসহ কাটার সরঞ্জাম
- স্যামসাং ও ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এলইডি টিভি
- লুণ্ঠিত নগদ অর্থ
- পূর্বের একটি মামলার লুণ্ঠিত সিগারেট ও গ্যাস লাইট
মূল হোতা শাহাবউদ্দিন ওরফে সাবুর বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে লুণ্ঠিত দুটি এলইডি টিভি। সে চাঁদপুরের শাহারাস্তি থানার একটি ডাকাতি মামলারও পলাতক আসামী।
“এটি একটি সুপরিকল্পিত সংঘবদ্ধ ডাকাতি। প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা দ্রুতই ডাকাতদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। তদন্ত চলছে, আরও আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।” — বলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
প্রসঙ্গত, এ চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরি ও ডাকাতির মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।