নাটকীয় এক জয় এনে দিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি।

ডি পলে’র অভিষেক রাঙালেন লিওনেল,মেসি ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথমার্ধে কোন গোল হয়নি! ম্যাচের প্রথম গোলটি হয় ৫৮ মিনিটে। সেগোভিয়ারের করা গোলে এসিস্ট করেছিলেন মেসিই। ৮২ মিনিটে লোজানোর গোলে সমতায় ফেরে অ্যাটলাস। ইনজুরি সময়ে মেসির পাস থেকে গোল করে জয় এনে দেন মার্সেলো ভিগান্ট। যদিও অফসাইডের পতাকা উঠেছিল, তবে ভিএআরে বৈধ বলে বিবেচিত হয় গোলটি!

এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার ম্যাচে দলকে জয় উপহার দিয়েছেন লিওনেল মেসি। তাঁর দুই অ্যাসিস্টে মেক্সিকান ক্লাব অ্যাটলাসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি। আর এই জয়ে লিগস কাপে পথচলা শুরু হল যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির। সবচে বড় কথা জুলাই জুড়ে নিজের অসাধারণ ফর্ম অব্যাহত রাখলেন মেসি। মেজর লিগ সকারে এ মাসে তিনি করেছেন ৮ গোল, পাঁচটি অ্যাসিষ্ট, যেকারণে ইতিমধ্যে মাসসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছে মেসির হাতে। এখন উত্তর ও মধ্য আমেরিকার ৩৬ ক্লাবের এই প্রতিযোগিতায় জয়ে মৌসুম শুরু হল মায়ামির।

শেষ মূর্হুর্তে জয়সূচক গোল পাওয়ার পর মেসির সাথে আনন্দে মেতে ওঠেন প্রথমবার খেলতে নামা রদ্রিগো ডি পল। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ডি পল গত সপ্তাহে মায়ামিতে যোগ দিয়েছেন। মেসি ও ডি পল একসাথে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলেছেন ৬২ ম্যাচ। এই ম্যাচে দারুণ কিছু সেভ করেন মায়ামি গোলরক্ষক রিওস নোভো। লুইস সুয়ারেজের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। এই ম্যাচ শেষে জুলাই মাসে মেসির অ্যাকাউন্টে যোগ হলো ৮ গোল ও ৫ অ্যাসিস্ট। অসাধারণ পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবে মাসসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে, ক্লাব ক্যারিয়ারে নতুন অধ্যায় শুরু করলেন রদ্রিগো ডি পল। জাতীয় দলের হয়ে মেসির সঙ্গে ৬২ ম্যাচ খেলা এই মিডফিল্ডার এবার ক্লাব ফুটবলেও মেসির সতীর্থ হলেন। মেসির সঙ্গে দি পলের আন্তরিক সম্পর্কের বিষয়টিও ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে বেশ আলোচিত। দুজন একসঙ্গে জাতীয় দলের হয়ে একসঙ্গে ৬২ ম্যাচ খেলেছেন। মাঠে ও মাঠের বাইরে বিভিন্ন সময় মেসির ঢাল হয়ে দাঁড় হওয়ার কারণে তাকে অনেকে মেসির ‘দেহরক্ষী’ বলেও ডাকেন।

Share this post:

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *