নির্বাচন কমিশন (ইসি) ২০২৫ সালের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালার আওতায় আগ্রহী ও যোগ্য বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) নিকট থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন আহ্বান করেছে।
রবিবার নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে আগ্রহী এনজিওসমূহকে পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন প্রদান করা হবে।
এই সময়কালে নিবন্ধিত সংস্থাগুলো জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।
আগ্রহী সংস্থাগুলোকে নির্ধারিত আবেদনপত্র (ফরম EO-1) যথাযথভাবে পূরণ করে আগামী ১০ আগস্ট বিকেল ৫টার মধ্যে অফিস সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর জমা দিতে হবে।
আবেদনপত্র নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা (কক্ষ ১০৫) থেকে সংগ্রহ বা ইসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (www.ecs.gov.bd) থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
যোগ্যতার শর্ত:
- আবেদনকারী সংস্থাটি বাংলাদেশের প্রাসঙ্গিক আইনের অধীনে নিবন্ধিত হতে হবে।
- গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার সংক্রান্ত কার্যক্রমে সম্পৃক্ত সংস্থাগুলোই আবেদন করতে পারবে।
- সংস্থার গঠনতন্ত্রে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পর্কে গণসচেতনতা ও তথ্য প্রচারে প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে।
- যদি সংস্থার প্রধান নির্বাহী, বোর্ড সদস্য বা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকেন, তাহলে সংস্থাটি অযোগ্য বলে গণ্য হবে।
- প্রধান নির্বাহী ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার শপথনামা জমা দিতে হবে।
- জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থার নামের সঙ্গে মিল বা বিভ্রান্তিকর নাম হলে আবেদন বাতিল হবে। তবে নামের মিল থাকলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনাপত্তিপত্র জমা দিতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে যেসব কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে:
- সংস্থার গঠনতন্ত্র (নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত)
- ট্রাস্টি বোর্ড বা নির্বাহী কমিটির অনুমোদিত সদস্যদের তালিকা
- নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত অনুলিপি (প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার দ্বারা)
- সংস্থার নিবন্ধিত ঠিকানার প্রমাণ এবং প্রয়োজনে হালনাগাদ কাগজপত্র
- নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নাম ও ঠিকানা এবং অনুমোদিত কার্যক্রমের তালিকা
- গত দুই বছরের বার্ষিক পরিকল্পনা ও কার্যক্রম প্রতিবেদন
- প্রয়োজনে দেশীয় বা বিদেশি সহযোগী সংস্থার অনাপত্তিপত্র
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, অসম্পূর্ণ, ভুল বা দেরিতে জমা দেওয়া আবেদনপত্র বাতিল বলে বিবেচিত হবে।
অতিরিক্ত তথ্যের জন্য, আবেদনকারীদের নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা (কক্ষ ১০৫)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।