পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে শখের বশে আখচাষাবাদ করে ভাগ্য বদলের পথে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মাহমুদুল হাসানের। আখ লাগানোর অভিজ্ঞতা না থাকলেও ইউটিউব চ্যানেল দেখে বাড়ির পাশে উঠানের ফাঁকা জায়গায় চারাগুলো রোপণ করে। ইতিমধ্যেই আখগুলো ৬ মাস বয়সেই বেশ লম্বা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি অফিস ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বালিঘাটা ইউনিয়নের দরগাপাড়া এলাকার পাঁচবিবি-হিলি সড়কের পাশ ঘেঁষে বাড়ির উঠানে লাগানো হয়েছে আখগুলো। প্রায় ৬ মাস আগে নওগাঁয় বেড়াতে গিয়ে এক হাজার পিচ ফিলিপাইন জাতের আখের চারা ক্রয় করে নিয়ে আসেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মাহমুদুল হাসান। এরপর ইউটিউব চ্যানেল ঘেঁটে বাড়ির উঠান বরাবর ফাঁকা জায়গায় আখের চারাগুলো লাগিয়েছে।
পাঁচবিবি উপজেলার দরগাপাড়া গ্রামের সাবেক সেনাসদস্য মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রায় ৬ মাস আগে নওগাঁয় বেড়াতে গিয়ে শখের বশে এক হাজার পিচ ফিলিপাইন জাতের আখের চারা ক্রয় করে নিয়ে আসি। পরে ইউটিউব চ্যানেল ঘেঁটে বাড়ির উঠানের সামনে ৬ শকত ফাঁকা জায়গায় আখ চারাগুলো লাগিয়েছি। চারাগুলো রোপনের পর থেকেই পরিচর্চা করে আসছি। ৬ মাসেই গাছগুলো বেশ ভালো হয়েছে। ৬ মাস বয়সেই আখগুলো আমার থেকেও বেশ লম্বা হয়েছে। তবে ১ বছর বয়স হলে এ জাতের আখ ১২ থেকে ১৬ ফিট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। অন্যান্য ফসল চাষাবাদে যে পরিমানে টাকা খরচ করতে হয়। কিন্ত আখ চাষে খরচ নেই বললেই চলে।জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহারের চেয়ে পোকামাকড় নিধণ বিষ প্রয়োগ করতে হয় বেশি। এ পর্যন্ত আখের চারাগুলোর পিছনে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক বাবদ ৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। আমি যদি প্রতি পিচ আখ ৫০ টাকা দরে বিক্রি করলেও খরচ বাদে ৪০ হাজার টাকা লাভের আশা করছি। আমি শুধু আখ চাষাবাদই করিনি বাড়ির চার পাশে বস্তায় আদা চাষবাদও করেছি। এছাড়া বিভিন্ন ফুল-ফল ও সবজি বাগানও করেছি।
পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জসিম উদ্দিন জানান,ফিলিপাইনের কালো জাতের আখ চাষে খরচ তুলনামূলক অন্যান্য ফসলের চেয়ে অনেকটা কম। চাষিরা চাইলে বাণিজ্যিক ভাবে আখ চাষ করে লাভবান হতে পারবেন। এ আখে প্রচুর পরিমানে রস বিদ্যমান চিবিয়ে খেতে হয় এবং শরীরের জন্য উপকারী। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব চাষীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছি।