প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যা: বাবা-চাচাসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, খালাস মা

জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজ মেয়েকে হত্যার ঘটনায় বাবা ও চাচাসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এ মামলায় খালাস পেয়েছেন নিহতের মা মোছা. নাজমুন্নহার।

কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ নুরুল আমীন বিপ্লব আজ বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন। জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. জালাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘করিমগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়া জহিরকোণা গ্রামে মেয়েকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বাবা আনোয়ারুল ইসলাম আঙ্গুর, চাচা খুরশিদ মিয়া ও চাচাতো ভাই সাদেক মিয়াকে আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। তবে রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে অনুপস্থিতি ছিলেন।’

মামলার বিবরণে জানা যায়, প্রতিবেশী আবু বকর সিদ্দিকের পরিবারের সঙ্গে আনোয়ারুল ইসলাম আঙ্গুরের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। ফলে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট রাতে আঙ্গুর, তার ভাই খুরশিদ মিয়া ও ভাতিজা সাদেক মিয়া মিলে মেয়ে মীরা আক্তারকে (১২) ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে বাড়ির পাশে বাঁশ ঝাড়ের ভেতর ফেলে রাখেন। পরদিন সকালে বাঁশ ঝাড় থেকে পুলিশ মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ১১ আগস্ট করিমগঞ্জ থানায় প্রতিপক্ষ আবু বকর সিদ্দিকসহ ১৬ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে বেরিয়ে আসে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আঙ্গুর অন্যদের নিয়ে মেয়েকে হত্যা করেন। ফলে ২০১৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা থেকে আবু বকরদের নাম বাদ দিয়ে করিমগঞ্জ থানার এসআই অলক কুমার দত্ত বাদী হয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনসহ নিহতের মা নাজমুন্নাহারের নামে থানায় নতুন করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Share this post:

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *