মোঃ কাওসার আহম্মেদ (লেখক ও সামাজিক সংগঠক)
বাংলাদেশের রাষ্ট্রযন্ত্রে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাগণ শিরদাঁড়া স্বরূপ। সরকারের ১ম শ্রেণীর এই কর্তাদের দায়িত্ব যেমন সুবিশাল, সমালোচনার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনাও ততোধিক।
স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্স্ট বেঞ্চের মেধাবীরাই কিন্তু এই চাকুরীতে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে এই ক্যাডারে প্রবেশ করেন, সমাজে মেধা ও যোগ্যতার জন্য সমাদৃত হন। কিন্তু প্রশ্ন জাগে: এই মেধা ও যোগ্যতা কি রাষ্ট্রের সেবায় নিবেদিত, নাকি ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ারে পরিণত হচ্ছে? একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার সততা ও নিষ্ঠাই পারে রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে, অন্যথায় এর ফলাফল রাষ্ট্রের জন্য অনেক ভয়াবহ হতে পারে।
প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কেন্দ্রীয় ভূমিকা:
আমার দৃষ্টি অনুযায়ী রাষ্ট্র কাঠামোয় জেলা, উপজেলা থেকে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়োগ হয় মূলত নিম্নলিখিত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে:
১. শৃঙ্খলা ও ব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্রীয় যন্ত্রের সুষ্ঠু ও কার্যকর পরিচালনা নিশ্চিতকরণে।
২. জনগণের দোরগোড়ায় উন্নত ও সুবিচারপূর্ণ সেবা পৌঁছে দেওয়ায়।
৩. নীতিমালা প্রনয়ন, বাস্তবায়ন ও প্রক্রিয়াগত উন্নতির মাধ্যমে সার্বিক বিষয়ের মানোন্নয়ন।
৪. দুর্নীতি রোধে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় ও দুর্নীতি প্রতিরোধে।
৫. ন্যায়নিষ্ঠ ও দক্ষ আচরণের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি ও সুদৃঢ় করণে।
এককথায়, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সদিচ্ছাই পারে একটি প্রকৃত কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের ভিত্তি রচনা করতে। অপরদিকে, তাদের অনিচ্ছা বা অসততা রাষ্ট্রকে অন্তঃসারশূন্য করে তুলতে পারে সেই সাথে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
তাই তাদের চিন্তা, চেতনা, নৈতিকতা ও উদারতাই রাষ্ট্রভিত্তির একটি মৌলিক স্তর নির্ধারণ করে।
রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও আমলাতান্ত্রিকতার জঞ্জাল ও চ্যালেঞ্জ:
দেশের সার্বিক উন্নয়ন, জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও আকাঙ্খিত রাষ্ট্র পুনর্গঠনের মূল অন্তরায় হল বিকৃত রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও দুষ্ট আমলাতান্ত্রিকতা। এই সংস্কৃতি ভেঙে একটি স্থিতিশীল, নৈতিকতাভিত্তিক ও জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলতে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দ্বৈত ভূমিকা (নাগরিক ও রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ হিসেবে) অপরিহার্য।
দুর্নীতির ভয়াবহ চক্র ও পরিণতি:
এইদেশে বাস্তবতার নির্মম চিত্র হল, অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশে রাজনৈতিক নেতারা রাষ্ট্রীয় অর্থ ও সম্পদ লুটপাটে মেতে ওঠেন। এতে উভয়পক্ষই লাভবান হয়। জনগণের কর, ভ্যাট ও অন্যান্য খাতে জমাকৃত অর্থ, যা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে সুরক্ষিত থাকার কথা, তা রক্ষক কর্তৃকই লুণ্ঠিত হয়। জনগণের জন্য এর চেয়ে বড় দুর্দশা আর কী হতে পারে? এই চক্র ভাঙতে প্রয়োজন কঠোর জবাবদিহিতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক নীতিমালার কাঠামোয় কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা।
কেরানীগঞ্জে আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা ও একটি পরিসংখ্যানের গল্প:
আমি ঢাকার নিকটবর্তী ক্রমবর্ধমান উন্নয়নে উপশহর হিসেবে খ্যাত কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা হিসেবে সরেজমিন পর্যবেক্ষণ ও তথ্যসুত্র প্রাপ্তির ব্যাপক সুযোগ পেয়ে আসছি (২০১১ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত) এই বিষয়ে সমস্যাগুলোর গভীরতা উন্মোচন করতে পেরেছি বলে আমার মনে হয়। বেশ কয়েক বছরে প্রায় ২৬ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তার কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনার পর মাত্র যে পরিসংখ্যান তৈরি করেছি তাতে দেখা যায় ২৬ জনের মধ্যে মাত্র ০৩ জন (১১.৫৪%) কর্মকর্তাকে সর্বদা সৎ, নিষ্ঠাবান ও কর্তব্যনিষ্ঠ হিসেবে চিহ্নিত করতে পেরেছি। এর বিপরীতে, ২৩ জন (৮৮.৪৬%) কর্মকর্তাই অসৎ, দুর্নীতিগ্রস্ত ও স্বার্থবাজ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। এই পরিসংখ্যান শুধু কেরানীগঞ্জের নয়, সম্ভবত বাংলাদেশের সম্পূর্ণ প্রেক্ষাপটের একটি করুণ প্রতিচ্ছবি।
দুর্নীতি ও আমলাতন্ত্র অবসানের কৌশল নির্ধারন: এই দুর্নীতি ও অসততার হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার কৌশল পুর্বেও ছিল এখনও বিদ্যমান এবং এর বাস্তবায়নের মূল চাবিকাঠি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হাতেই রয়েছে। তবে প্রধান বাধা হল রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য প্রকাশ্য ও গোপন প্রভাব। এইজন্য করণীয় ও বর্জনীয় নির্ধারণের মাধ্যমে আমলাতান্ত্রিকতা দূরীকরণে কৌশল তূলে ধরা হলো:
করণীয় বিষয়গুলো এমন হতে পারে-
হিসেবে নৈতিকতার চূড়ান্ত মানদণ্ড ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে সর্বোচ্চ সততা ও নৈতিকতার চর্চা করতে হবে। নৈতিক দৃঢ়তাই অন্যায় প্রস্তাব আসতে বাধা দেয়। নৈতিকতা ও সততা সর্বোচ্চ নৈতিক মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা করে। সকল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য অসৎ প্রস্তাবে কখনও সম্মত হওয়া যাবে না, স্বজনপ্রীতি, পক্ষপাত ও বৈষম্য করা যাবে না। মনে রাখতে হবে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সকল প্রক্রিয়া সরলীকরণ ও ডিজিটালীভাবে সম্প্রসারণ করতে হবে। সেই সাথে সেবা প্রদানের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। (যদিও সব অফিস আদালতে এখন সিটিজেন চার্ট আছে)
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা: সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া ও আর্থিক কার্যক্রমে পূর্ণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জনগণ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে কোন জবাবদিহিতা তৈরি করেনা। তাই জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকার অঙ্গিকার বাস্তবায়নের জন্য সকল আর্থিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। স্বয়ংক্রিয় মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে নাগরিক প্রতিক্রিয়া জানার ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। কোন কর্মকর্তাকে অপরাধের জন্য অব্যাহতি বা তাঁর অপকর্ম গোপন করা যাবে না।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা: যে কোনো ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করা ও কোনভাবে নিজে না জড়ানো এবং অধীনস্থদের জড়ানো থেকে বিরত রাখা।
দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য যে কোন অভিযোগ স্বচ্ছ তদন্তের তৎপরতা থাকা দুর্নীতিতে জড়িত হওয়া রোধ করে। দুর্নীতিকে কখনই প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। বর্তমান অনলাইন ব্যবস্থাপনা স্বচ্ছতার জন্য সকল ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলককরণ প্রয়োজন।
আইনের শাসন ও নীতি প্রাধান্য: রাজনৈতিক চাপ উপেক্ষা করে আইন, বিধি ও রাষ্ট্রীয় নীতিকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে আইন ও নীতির প্রতি আনুগত্য থেকে বিরত না হওয়া। অযৌক্তিক চাপ স্বাভাবিক ভাবে প্রত্যাখ্যানের কৌশল তৈরি করা। কোন রাজনৈতিক দলের স্বার্থে নিজেকে অথবা সরকারী সম্পদের ব্যবহার না করা। রাজনৈতিক আনুকূল্য অনেক সময় আইনের শাষন উপেক্ষা করে, তাই নীতি-ভিত্তিক পদ্ধতি অনুসারে স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করা।
জনসেবাকে অগ্রাধিকার: রাষ্ট্রের মালিক জনগন এই চিন্তা মাথায় রেখে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে জনগণের সেবাকে সহজলভ্য ও দ্রুততম করাই জনদুর্ভোগ দূরীকরণের মুখ্য লক্ষ্য হওয়া উচিত।
জনসেবাকে বাধাগ্রস্থ করে (ঘুষ গ্রহণ ও হয়রানি প্রক্রিয়া) এটি দুর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তাদের একটি কৌশল। তাই ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুকরণ, মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম জোরদারকরণ সহ নিজ অধিনস্তদের প্রতি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখা ও সতর্ক করার কৌশল ব্যবহার করা।
দক্ষতা ও উদ্ভাবনী চিন্তা: প্রথাগত পদ্ধতির বাইরে গিয়ে সমস্যা সমাধানে দক্ষ ও উদ্ভাবনী সমাধান খোঁজা। ডিজিটালাইজেশনকে কাজে লাগানো।
সুশীল সমাজ ও মিডিয়ার সাথে সংলাপের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের সাথে ইতিবাচক সংলাপ বজায় রাখা জরুরি।
বর্জণীয় বিষয়গুলো এমন হতে পারে-
দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিকে বর্জণ করতে হবে। ঘুষ গ্রহণ/প্রদান, টেন্ডার কারচুপি, কাউকে অযৌক্তিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকতে হবে। “রাজনৈতিক আনুগত্য রাষ্ট্রীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে কখনোই না” এই বিষয় মস্তিষ্কে বদ্ধমূল করতে হবে। কোন রাজনৈতিক দলীয় স্বার্থে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহার বা নির্দেশনা মানা পরিহার করতে হবে। প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে।
অহংকার ও জনবিচ্ছিন্নতা প্রশাসনের কর্তাদের একটি বড় দোষ। এর প্রভাব খুব দ্রুত গতিতে সৎ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়ে যায়। তাই ক্ষমতার অহংকারে ভোগা এবং জনগণের সমস্যা ও চাহিদা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া মারাত্মক ক্ষতিকর।
জবাবদিহিতা এরিয়ে চলার মানসিকতা দুর করতে হবে। সকল কর্মকাণ্ডের জন্য দায় নিতে অনীহা বা জবাবদিহির ব্যবস্থাকে অস্বীকার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোন কাজে অবহেলা ও গড়িমসি করা যাবে না৷ ফাইল আটকে রাখা, সিদ্ধান্তে গ্রহণে অহেতুক বিলম্ব করা, জনসেবায় গড়িমসি করা রাষ্ট্র ও জনগণের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করার সমতুল্য।
ভাবমুর্তি সমুন্নত রাখার জন্য অপপ্রচার ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করা বা অপপ্রচারে লিপ্ত হওয়া জঘন্যতম অপরাধ ও জনগনের সাথে প্রতারণা। কাজে গতি মন্থর হলেও জনগনকে কখনই ধোঁকা দেয়া যাবে না। কারণ এমনিতেই এদেশের জনগন রাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রতি শত বছরেও আস্থা অর্জন করতে পারে নি।
আমলাতান্ত্রিকতার অবসান:
রাষ্ট্রের সকল প্রক্রিয়াকে জটিল ও সময়সাপেক্ষ নিয়ম-কানুন পর্যালোচনা করে যথাসম্ভব সরলীকরণ ও বোধগম্য করে তোলা।
তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষে ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ায় সেবা সহজিকরণ করা। সকল ধরনের সেবা অনলাইনে প্রদানের ব্যবস্থা সম্প্রসারণ করা। ই-ফাইলিং, ই-টেন্ডারিং, অনলাইন আবেদন ও ট্র্যাকিং ব্যবস্থা সর্বত্র চালু করা। ওয়ান-স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে একই স্থানে বা প্ল্যাটফর্মে সব ধরনের সেবা পাওয়ার ব্যবস্থা করা। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রদান নিশ্চিত করা। ফাইল আটকে রাখার প্রবণতা রোধ করা। দায়িত্ব গ্রহণ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে জটিল বিষয়ে সমন্বিতভাবে দ্রুত সমাধানে এগিয়ে আসা। দায়িত্ব এড়ানোর প্রবণতা পরিহার করে। নাগরিক অভিযোগ প্রতিকারের কার্যকর ব্যবস্থার জন্য অভিযোগ গ্রহণ, তদন্ত ও নিষ্পত্তির জন্য দ্রুত, স্বচ্ছ ও ফলপ্রসূ ব্যবস্থা চালু রাখা।
প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হাতেই রয়েছে রাষ্ট্রকে দুর্নীতি ও অদক্ষতার গ্লানি থেকে মুক্ত করে একটি ন্যায়ভিত্তিক, সুশাসিত ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্রে পরিণত করার চাবিকাঠি। কেরানীগঞ্জের সেই ৩ জন সৎ কর্মকর্তারাও প্রমাণ করেন যে নৈতিক দৃঢ়তা ও দেশপ্রেমের সাথে দায়িত্ব পালন অসম্ভব নয়। রাজনৈতিক চাপ উপেক্ষা করে জনগণের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করার মাধ্যমেই তারা রাষ্ট্রভিত্তিকে মজবুত করতে পারেন। জনগণের ভাগ্যোন্নয়ন, মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে তাদের বোধোদয় ও সক্রিয় ভূমিকা আমাদের কাম্য। আজ থেকে সকল প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অঙ্গিকার হোক
কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের অংশীদারিত্ব নিজ কর্মের মাধ্যমে তৈরি হোক। কারণ, একটি দুর্নীতিমুক্ত, দক্ষ ও জনবান্ধব প্রশাসনই পারে বাংলাদেশকে তার প্রকৃত সম্ভাবনার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে।
লেখক হিসেবে আমার চিন্তা, চেতনা লেখনীর পাশাপাশি, এও চিন্তায় রেখেছি রাষ্ট্র যদি কখনও এই অসততা ও দুর্নীতি দমনে, সৎ ও দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের সনাক্তকরণ ও নির্বাচনের কার্যকর কৌশল প্রয়োগে সহায়তার প্রয়োজন বোধ করে, তবে কথা দিচ্ছি বিনা পারিশ্রমিকে সেই কাজে আত্মনিয়োগ করবো ইনশাআল্লাহ।