নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফরিদপুরের নগরকান্দায় র্যাবের পরিচয়ে ডাকাতির সময় পাঁচ সদস্যের একটি সংঘবদ্ধ চক্রকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০। রবিবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় নগরকান্দা থানার জয় বাংলা মোড় এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার হয়। র্যাব জানায়, সাতক্ষীরা জেলার দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ী ঢাকা থেকে জুয়েলারি তৈরির যন্ত্রপাতি কিনে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস বাসে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যা ৬টার দিকে জয় বাংলা মোড়ে পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাস এসে র্যাব পরিচয়ে বাসটি থামিয়ে দেয়। এরপর ৩/৪ জন র্যাবের পোশাক পরা ব্যক্তি বাসে উঠে ব্যবসায়ী জয়দেব আধ্য (৫৩) ও তার ভাই বিশ্বনাথ আধ্য (৫৭) কে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। তাদের চোখ বেঁধে মারধর করে সাথে থাকা ২হাজার ৭শ’ টাকা ও মালামাল ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা।
র্যাব-১০ এর আভিযানিক দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে মাইক্রোবাসসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। তারা হলো— দিদার (২৯), ফরিদপুর, মো. সাইফুল ইসলাম (৩০), গাইবান্ধা, মিন্টু গাজী (৪৫), চাঁদপুর, মো. জামিল (৩২), মাদারীপুর, স্বপন খান (৪৫), শরীয়তপুর।
অভিযান চলাকালে উত্তেজিত জনতা মাইক্রোবাস ঘেরাও করে ভাঙচুর করে এবং পালানোর চেষ্টা করা দুই ডাকাত—সাইফুল ইসলাম ও স্বপন খানকে ধরে মারধর করে। পরে র্যাব সদস্যরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে র্যাবের ৪টি জ্যাকেট, ৩টি ক্যাপ, ২ জোড়া হাতকড়া, ১টি স্টানগান, ওয়াকিটকি, পিস্তলের কভার, গ্যাস লাইট, মোবাইল ফোন ও মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে মিন্টুর বিরুদ্ধে ৩টি, সাইফুলের বিরুদ্ধে ৩টি, দিদারের বিরুদ্ধে ৮টি, স্বপন খানের বিরুদ্ধে ৪টি হত্যা মামলা এবং জামিলের বিরুদ্ধে ১টি হত্যা মামলা রয়েছে।
র্যাব-১০ এর অধিনায়ক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান পিপিএম জানান, “এই চক্রটি আন্তঃজেলা ডাকাত চক্র, যারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক পরে সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে ডাকাতি করে আসছিল।” তিনি আরও জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাসে সিসিটিভি স্থাপন ও যাত্রা শুরুর আগে যাত্রীদের স্থিরচিত্র ধারণ করার পরামর্শ দেন। সন্দেহজনক কাউকে দেখলে ৯৯৯ অথবা কাছের থানায় অবহিত করার আহ্বান জানান তিনি।