ফ্লাইট এক্সপার্ট বন্ধ: সোমা ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেসের বিবৃতি

মোঃ রফিকুল ইসলাম, ঢাকা (পল্টন থেকে)

উড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিং প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্ট বাংলাদেশ (FEBD) বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশের একাধিক ছোট ও মাঝারি টিকিট বিক্রেতা এবং গ্রাহকরা। আগাম টিকিটের বিপরীতে জমাকৃত অর্থ ফেরত পাওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দাবি করা হয় যে, সোমা ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস ফ্লাইট এক্সপার্টের মাধ্যমে কাটা টিকিটের রিফান্ড কার্যক্রম চালু করেছে এবং অফিস বন্ধ রেখে গোপনে পিএনআর রিফান্ড করা হচ্ছে। এমনকি প্রতিষ্ঠানটি ফ্লাইট এক্সপার্টের বন্ধ হওয়ার বিষয়টি আগে থেকেই জানত বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এসব দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর আখ্যা দিয়ে সোমা ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস এক বিবৃতিতে বলেছে,

“ফ্লাইট এক্সপার্টের সঙ্গে আমরা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতোই স্বাভাবিক বাণিজ্যিক লেনদেন করেছি। তাদের হঠাৎ কার্যক্রম বন্ধের ঘটনায় আমরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।”

সোমা ইন্টারন্যাশনাল আরও জানায়, ফ্লাইট এক্সপার্টের কাছে তাদের একটি বড় অঙ্কের অর্থ পাওনা রয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি ২ আগস্ট সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানা ও ঢাকার পল্টন থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নম্বর: পল্টন – ৯৪, সিলেট – ১২২) করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়,

“আমরা যাত্রীদের টিকিটের অর্থ নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। কিন্তু আমাদের নাম জড়িয়ে যে ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

সোমা ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস দাবি করে, প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছে এবং যেকোনো ধরনের অভিযোগ বা ভুল বোঝাবুঝি নিরসনে প্রস্তুত রয়েছে।

বিবৃতির শেষে প্রতিষ্ঠানটি গণমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে,

“প্রকৃত ঘটনা যাচাই করে দায়িত্বশীল সংবাদ প্রকাশ করা হোক, যেন নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *