আবু শিহাবুত তালহা, শাজাহানপুর বগুড়া থেকে-
বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ববিপ্রবি) প্রতিষ্ঠার ঘোষণা আসে ২০০১ সালে। একই বছর জাতীয় সংসদে ‘বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন’ পাস হলেও রাজনৈতিক অবহেলা ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে প্রকল্পটি দীর্ঘ দুই দশক স্থবির হয়ে পড়ে।
২০২৩ সালের ২২ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অবশেষে আইন কার্যকর ঘোষণা করে। এরপর ২০২৫ সালের ৩ জুন প্রফেসর ড. মো. কুদরত‑ই‑জাহানকে প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়, যা এই প্রকল্পে নতুন গতি এনে দেয়। জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজ ও স্থানীয় শিক্ষা আন্দোলনকারীদের উদ্যোগে অস্থায়ী ক্যাম্পাস চালুর প্রস্তুতি শুরু হয়।
বর্তমানে ৮টি বিভাগ ও ১৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে অস্থায়ীভাবে শিক্ষাকার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য জমি অধিগ্রহণ এখনো সম্পন্ন হয়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য উপযুক্ত জায়গা নির্ধারণ এবং বাজেট বরাদ্দের প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তরাঞ্চলে উচ্চশিক্ষা ও প্রযুক্তি শিক্ষার মানোন্নয়নে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দীর্ঘসূত্রিতা, অর্থ সংকট এবং সরকারের উদাসীনতায় বগুড়াবাসীর স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় এখনও বাস্তব রূপ পায়নি।
স্থানীয় শিক্ষানুরাগীরা দাবি করছেন, দ্রুত স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাজ শুরু করে ভর্তি কার্যক্রম চালু করা হোক। অন্যথায় দুই যুগের প্রতীক্ষা শেষে এই প্রকল্পও রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির ফাঁদে আটকে যাবে বলে শঙ্কা রয়েছে।