সৌদি নাগরিক শাকের আল ওতাইবি কাওকে কিছুই না জানিয়ে গোপনে বন্ধুর জন্য এক অবিশ্বাস্য সিদ্ধান্ত নেন। যা তার বন্ধুর জীবনকে চিরতরে বদলে দিয়েছে।
দীর্ঘ ১৭ বছরের প্রিয় বন্ধু ফাহাদ যখন কিডনি বিকল হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, তখন নিজের একটি কিডনি তাকে দান করার ব্যবস্থা করেন শাকের। কিন্তু পুরো প্রক্রিয়াটি তিনি এমনভাবে সম্পন্ন করেন যে, অস্ত্রোপচারের আগে পর্যন্ত ফাহাদ জানতেই পারেননি কে তাঁর এই জীবনদাতা।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে যখন শাকের আল ওতাইবি ‘সাবাহ আল আরাবিয়া’ নামক একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আসেন। সেখানেই তিনি পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন। তিনি জানান, অস্ত্রোপচার সফল হওয়ার পর ফাহাদকে জানানো হয় যে, তার শরীরে বইছে তারই প্রিয় বন্ধু শাকেরের কিডনি।
অনুষ্ঠানে শাকের বলেন, ‘আমি শুধু ওর জীবন বাঁচাতে চেয়েছিলাম। যখন চিকিৎসকেরা জানালেন যে, আমাদের দুজনের টিস্যু ম্যাচ করেছে, আমি এটিকে একটি ঐশ্বরিক ইঙ্গিত হিসেবে গ্রহণ করি এবং এক মুহূর্তও দেরি না করে এগিয়ে যাই।’তাদের এই বন্ধুত্বের গল্প প্রায় দুই দশক পুরনো।
দীর্ঘ ১৭ বছরের এই সম্পর্ক সময়, দূরত্ব বা অসুস্থতার মতো কঠিন পরীক্ষাতেও অটুট ছিলো। কিন্তু কোনো প্রশংসা বা প্রচারের আশা না করে শাকেরের এই নীরব আত্মত্যাগ তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। সেইসাথে এই ঘটনা সৌদিজুড়ে অঙ্গদান নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
-সূত্র: গালফ নিউজ