বিশেষ প্রতিনিধি
“বাগদাফার্মের সাঁওতালদের পৈত্রিক জমি ফেরত চাই,তিন ফসলি রক্তভেজা জমিতে ইপিজেড, সাঁওতাল হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের বিচার চাই” এমন স্লোগানকে সামনে রেখে দিনাজপুরের রোড মার্চ টু ঘোড়াঘাটে সম্প্রীতি সমাবেশ করেছে সাঁওতালরা।
শনিবার (২৬জুলাই) দুপুরে সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভুমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির আয়োজনে বাগদাফার্ম থেকে পায়ে হেঁটে ও ভ্যান যোগে সাঁওতাল-বাঙালি নারী-পুরুষ তীর-ধনুক হাতে,ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলা সামনে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে আদিবাসী সংগঠনের সভাপতি ড.ফিলিমন বাস্ককের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,গাইবান্ধা জেলা জজকোটের অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, অ্যাডভোকেট ফারুক, ঘোড়াঘাট আদিবাসী সংগঠনের সভাপতি লুইস মুর্মু,সাধারণ সম্পাদক বিপুল বেসরা,পীরগঞ্জ আদিবাসী সংগঠনের সভাপতি জোসেফ সরেন,জাহাঙ্গীর তনু বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনের নেতারা।
এসময় বক্তারা বলেন,বাগদাফার্ম ও ঘোড়াঘাট আদিবাসী সাঁওতালদের ওপর হামলা, মামলা দেয়াসহ বিভিন্ন নির্যাতন ও তাদের জমি জবরদখল করার চেষ্টা চলছে। গোবিন্দগঞ্জের বাগদাফার্ম এলাকায় সাঁওতালদের উচ্ছেদ ঠেকাতে ইপিজেড স্থাপনের প্রচেষ্টা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
উল্লেখযোগ্য ফ্যাস্টিট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর রংপুর চিনিকলের আওতাধীন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে স্থানীয় সাঁওতালদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের তিনজন মারা যান। আহত হন পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন। পরে পুলিশের অভিযানে চিনিকলের জমিতে গড়ে ওঠা বসতি থেকে সাঁওতালদের উচ্ছেদ করার লক্ষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এর পর থেকেই ওই জমি উদ্ধার এবং ফেরত পাওয়ার দাবিতে স্থানীয় সাঁওতাল ও বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন আন্দোলন করে আসছে।