সোনার মুখটা সবাইকে দেখান, অপুকে বললেন এক পুলিশ সদস্য

গুলশানে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার গণতান্ত্রিক ছাত্র-সংসদের বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। শনিবার (২ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে, শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ওয়ারী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, শনিবার বেলা ৩টার দিকে একটি সাদা প্রাইভেট কারে করে অপুকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। এরপর বিকেল ৩টা ২৮ মিনিটে তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের লিফটে তোলা হয়। এ সময় অপু মুখ আড়াল করার চেষ্টা করছিলেন। তখন পুলিশ সদস্যরা তার মুখের সামনে থাকা হেলমেটের কাচ সরিয়ে দেন।

এ সময় একজন পুলিশ সদস্য বলেন, সোনার মুখটা সবাইকে দেখান। সাংবাদিকরা তখন তাকে প্রশ্ন করেন তিনি চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত কিনা। এ সময় কোনো উত্তর না দিয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকেন অপু।

প্রসঙ্গত, গুলশানে আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে নিজেদের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দেন আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদসহ কয়েকজন। তারা শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সিদ্দিক আবু জাফর ১০ লাখ টাকা চাঁদা দেন। গত শনিবার রাতে চাঁদার বাকি টাকা আনতে যান তাঁরা। ঘটনাস্থল থেকে রাজ্জাকসহ পাঁচজন পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। বাকি চারজন হলেন ইব্রাহিম হোসেন ওরফে মুন্না, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও অপ্রাপ্তবয়স্ক একজন।

এ ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা করেছেন সিদ্দিক আবু জাফর। মামলার এজাহারে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনের বাইরে অপু নামের একজনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া প্রাপ্তবয়স্ক চার আসামিকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আর প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় আরেকজনকে টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন আদালত।

Share this post:

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *