১৬ জুলাই ‘শহীদ দিবস’, ৫ আগস্ট ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত: প্রেস সচিব  

১৬ জুলাই শহীদ দিবস এবং ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। রোববার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। ৮ আগস্ট কোনো বিশেষ দিবস পালিত হবে না।  

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম দুপুর ২টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাঁর ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিনটিকে ৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দেয় সরকার। এছাড়া রংপুরে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের নিহত হওয়ার দিন ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা এবং ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে সরকার।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন তিন দিবসের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’-এর পাশাপাশি ১৬ জুলাই ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ এবং ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ ঘোষণা করে বুধবার পৃথক তিনটি পরিপত্র জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

প্রতি বছর যথাযথভাবে এই দুটি দিবস প্রতিপালন করতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে অনুরোধ করা হয় ওই পরিপত্রে। ৮ আগস্ট ও ১৬ জুলাই পালনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্রের ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে বলা হয়েছে।

পরে রাজনৈতিক দলগুলোর সমালোচনার মুখে পড়ে এ সিদ্ধান্ত। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিন ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষণা নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ থেকে আপত্তি ও প্রতিবাদের মুখে সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনার আভাস পাওয়া যায়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক যুগ্ম সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে জানিয়েছিলেন, দিবসের নাম পরিবর্তনের জন্য ফের প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে মৌখিক আলোচনা হয়েছে। রোববার অফিস খোলা হলে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে নতুন করে প্রস্তাব পাঠানো হতে পারে।

৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ করার ঘোষণায় সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ৫ আগস্টকেই নতুন বাংলাদেশ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানও।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর তিন দিন পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।

Share this post:

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *