৫ আগস্ট হবে প্রতি বছরের সরকার ঘোষিত ছুটির দিন: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বলেছেন, “বাংলাদেশের জনগণ এখন থেকে প্রতি বছর ৫ আগস্টকে ‘গণজাগরণ দিবস’ সরকারি ছুটির দিন হিসেবে উদযাপন করবে।”

একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে, ২০২৪ সালের এই দিনে, ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যায়। একটি দানবের কবল থেকে জাতি মুক্ত হয়। স্বাধীনতাপ্রিয় ও গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে এ দিনটি বিজয়ের, আনন্দের ও সম্মানের।”

তিনি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণজাগরণ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং এটি এখন থেকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালিত হবে।

তারেক রহমান বলেন, ২১ শতকের বাংলাদেশে এক পলাতক স্বৈরশাসক ‘ভয়ংকর দুঃশাসন’ কায়েম করেছিল, যেখানে গুম, খুন, অপহরণ, হামলা, মিথ্যা মামলা, নির্যাতন ও নিপীড়ন ছিল নিত্যদিনের বাস্তবতা।

তিনি বলেন, “এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ পনেরো বছরের আন্দোলনে লাখ লাখ বিএনপি ও গণতন্ত্রকামী দলের নেতাকর্মী অকল্পনীয় কষ্ট সহ্য করেছেন। শত শত মিথ্যা মামলার কারণে লাখ লাখ নেতা-কর্মীকে ঘরছাড়া হতে হয়েছে। কেউ কেউ হারিয়েছেন পরিবারও।”

তারেক আরও বলেন, “বিরোধী কণ্ঠরোধে গোপন নির্যাতনকেন্দ্র ‘আয়নাঘর’ স্থাপন করা হয়েছিল। অনেককে বছরের পর বছর অন্ধকার কক্ষে আটকে রাখা হয়েছিল। সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী ও কমিশনার চৌধুরী আলম এখনো নিখোঁজ।”

তিনি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থাকে দোষারোপ করে বলেন, “তারা বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে এবং সংবিধানকে দুর্বল করেছে।”

তারেক রহমান আরও বলেন, “এই সরকার দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে, ব্যাংক লুটপাট করেছে এবং প্রায় ২৮ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।”

তিনি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে গণজাগরণে অংশগ্রহণকারী জনগণের সাহসের প্রশংসা করে বলেন, “ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, সাংবাদিক, নারী ও মায়েরা পর্যন্ত রাজপথে নেমে এসেছিলেন গণতন্ত্রের জন্য। সরকার হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালিয়েছে। অনেক শিশু ও তরুণ জীবন হারিয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *