জুলাইয়ের গণআন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা ছয়টি ভিন্ন মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক মন্ত্রীরা হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেননসহ সাতজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
রবিবার (২১ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াক এই মামলাগুলোতে তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন, এবং আদালত শুনানি শেষে সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।
গ্রেফতার দেখানো বাকি ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান এবং আইনজীবী ও সাবেক এমপি সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
মামলাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা হত্যা প্রচেষ্টা সংক্রান্ত মামলা। অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই মৌর ভিলার কাছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান বিক্ষোভে শাহরিয়ার হোসেন রোকন নামের এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে ৩ সেপ্টেম্বর রোকনের বাবা মোহাম্মদপুর থানায় আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, ইনু, মেনন ও আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আরেকটি মামলা হয়েছে মুগদা থানায়। এতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৮ জুলাই আইনজীবী আব্দুল আসেত শামীম আদালত থেকে বাসায় ফেরার পথে বাবু ডাক্তার গলিতে বিক্ষোভকারীদের ছোড়া রাবার বুলেটের আঘাতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর একটি মামলা হয়, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সায়েদুল হক সুমনসহ মোট ৫১ জনকে আসামি করা হয়।
শাহরিয়ার রোকনকে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনায় দায়ের করা মোহাম্মদপুর থানার মামলায় সাদেক খানকেও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এছাড়াও আনিসুল হক এবং রাশেদ খান মেননকে যাত্রাবাড়ী ও রামপুরা থানায় দায়ের করা আলাদা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।