নিস্পাপ সামিয়া পেলো নতুন জীবন: মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান

মাত্র ১২ বছরের ছোট্ট মেয়েটি সামিয়া আক্তার। এই বয়সে যার সময় কাটার কথা ছিল স্কুলে লেখাপড়া আর খেলার মাঠে সহপাঠীদের সঙ্গে। কিন্তু নিষ্ঠুর বাস্তবতায় সেই সামিয়াকেই লড়তে হয়েছে মৃত্যুর সঙ্গে—কারণ জন্ম থেকেই তার হৃদযন্ত্রে ছিদ্রসহ বেশ কিছু জটিলতা রয়েছে।
সামিয়ার বাবা শামীম হোসেন একজন পোশাক শ্রমিক। চার সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ছয় সদস্যের পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে প্রতিদিনই সংগ্রাম করে চলেছেন। মেয়ের চিকিৎসার বিপুল খরচ বহন করা তার পক্ষে ছিল সম্পূর্ণ অসম্ভব। ২০১৯ সালে ধরা পড়ে সামিয়ার হৃদরোগ। কিন্তু অর্থাভাবে থেমে যায় চিকিৎসা। এই পরিস্থিতিতে আশার আলো হয়ে আসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমের একটি সংবাদ। এরপর এই মানবিক উদ্যোগে সম্পৃক্ত হন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার ও বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন-এর সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুজ্জামান (পিপিএম)। তিনি সামিয়ার চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এবং তত্ত্বাবধানে সামিয়ার ভর্তি থেকে শুরু করে অপারেশন এবং চিকিৎসার প্রতিটি পর্যায় সম্পন্ন হয়। পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি হিসেবে চিকিৎসার সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা জেলা উত্তরের টিআই (এডমিন) পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. গোলাম সারোয়ার।
অপারেশনের সফল পর সামিয়া বর্তমানে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছে। ১৫ জুলাই সে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পায়।

ইন্সপেক্টর গোলাম সারোয়ার বলেন, “স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী সামিয়াকে হাসপাতাল ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় যাওয়া পর্যন্ত আমরা পাশে থেকেছি। আল্লাহর অশেষ কৃপায় সামিয়া এখন সুস্থ।”
এটাই প্রমাণ করে—সত্যিকারের মানবিকতা পেশা দেখে নয়, মন থেকেই আসে

Share this post:

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *