ঢাকা, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫:
ডেস্ক রিপোর্ট :
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, “ওয়াকফ এস্টেটগুলোকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হচ্ছে। এই কার্যক্রম সম্পন্ন হলে ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা আরও সাবলীল ও স্বচ্ছ হবে।”
আজ সকালে রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ন ট্রেড সেন্টারে হামদর্দ মিলনায়তনে মোতাওয়াল্লী সমিতি বাংলাদেশ আয়োজিত মতবিনিময় ও সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “ওয়াকফ এস্টেটের সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ওয়াকফ সংক্রান্ত মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টে একটি পৃথক বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “ওয়াকফ হচ্ছে ইসলামী সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক অংশ, যা রাসুল (সা.) এর যুগ থেকে আজ পর্যন্ত চলে আসছে। ওয়াকফের মাধ্যমে জনকল্যাণমূলক ও সেবাধর্মী কার্যক্রম পরিচালিত হয়।”
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, “ওয়াকফকারীদের উদ্দেশ্য ছিল নিঃস্বার্থভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং মানুষের কল্যাণ সাধন। সেই মহান উদ্দেশ্য ব্যাহত না হয়, সে বিষয়ে মোতাওয়াল্লীদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “মোতাওয়াল্লীরা ওয়াকফ এস্টেটের মালিক নন, বরং ওয়াকফ দলিল অনুসারে নিযুক্ত দায়িত্বশীল ব্যবস্থাপক মাত্র। কোনোভাবেই দলিলবহির্ভূতভাবে কাউকে মোতাওয়াল্লী নিয়োগ করা হবে না। ওয়াকফ প্রশাসনের সব কার্যক্রম আইন-কানুন অনুসরণ করে পরিচালিত হবে।”
ওয়াকফ প্রশাসনে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা রোধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “অবৈধ ও অসৎ মোতাওয়াল্লীদেরকে সৎ পথে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।”
সভায় মোতাওয়াল্লী সমিতির সভাপতি ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ড. মো. আলমগীর কবির পাটোয়ারী ওয়াকফ এস্টেটসমূহের সংকট উত্তরণে করণীয় বিষয়ে ১৪ দফা প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।
উপদেষ্টা মনোযোগ সহকারে প্রস্তাবনাগুলো শোনেন এবং তা যৌক্তিক বিবেচনায় পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (তথ্য ও গণসংযোগ) আমিরুল মোমেনীন মানিকসহ মোতাওয়াল্লী সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সদস্যবৃন্দ।