পেনাল্টিতে স্পেনকে হারিয়ে ইউরো ২০২৫ জিতল ইংল্যান্ড নারী দল

চলোয়ে কেলির নির্ধারক স্পট কিকেই নিশ্চিত হলো ইংল্যান্ডের জয়, পেনাল্টি শ্যুটআউটে ৩-১ গোলে স্পেনকে হারিয়ে ইউরো ২০২৫ শিরোপা ধরে রাখল তারা। ৯০ মিনিট এবং অতিরিক্ত সময় শেষে ১-১ গোলে সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

রবিবার সুইজারল্যান্ডের বাসেলে অনুষ্ঠিত উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে স্পেন শুরু থেকেই বলের নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং ম্যাচের ২৫তম মিনিটে ওনা বাত্লের ক্রসে মরিয়োনা কালদেন্তে হেড করে ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক হান্না হ্যাম্পটনকে পরাস্ত করেন।

লরেন জেমস গোড়ালির ইনজুরিতে ভুগছিলেন, ফলে ইংল্যান্ড দুর্বল ছিল বাম পাশে। বিরতির ঠিক আগে কোচ সারিনা উইগম্যান কেলিকে নামিয়ে চমক দেখান, যিনি মাঠে নেমে দলকে গতি এনে দেন।

কেলির নিখুঁত ক্রসে ৫৭তম মিনিটে আলেসিয়া রুসো হেড করে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান।

স্পেন ম্যাচজুড়েই আক্রমণ চালিয়ে গেলেও দ্বিতীয় গোল আর পায়নি। অতিরিক্ত সময়েও একের পর এক প্রচেষ্টা চালিয়েও ইংল্যান্ডের রক্ষণভাগ ভাঙতে পারেনি তারা।

পেনাল্টিতে স্পেনের শুরুটা ভালো হলেও ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক হান্না হ্যাম্পটন দুর্দান্তভাবে মরিয়োনা কালদেন্তে ও আইতানা বোনমাতির শট ঠেকিয়ে দেন। স্পেনের কল ইংল্যান্ডের লিয়া উইলিয়ামসনের শট ঠেকিয়ে আবার আশার আলো জ্বালালেও সালমা পারালুয়েলোর শট গোলপোস্টের বাইরে গেলে আবার এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড।

এরপরই চলোয়ে কেলি তুলে আনেন ২০২২ সালের স্মৃতি – সেই সময় অতিরিক্ত সময়ে জার্মানির বিপক্ষে গোল করে শিরোপা এনে দিয়েছিলেন। এবারও তিনিই দিলেন জয় নিশ্চিত করা গোল।

উল্লেখ্য, পুরো টুর্নামেন্টে স্পেন মাত্র ৪ মিনিট পিছিয়ে ছিল – এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক সেকেন্ডও নয় – তবু শিরোপা ছুঁতে পারেনি তারা।

এই প্রথম ১৯৮৪ সালের পর ইউরো নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল পেনাল্টিতে গড়াল, সেই ম্যাচেও ইংল্যান্ড হেরেছিল সুইডেনের কাছে।

বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হান্না হ্যাম্পটন বলেন, “এই দলটাই অসাধারণ। আমরা বারবার প্রমাণ করেছি, এক গোলে পিছিয়ে পড়লেও ঘুরে দাঁড়াতে পারি। আমাদের সেই লড়াইয়ের মানসিকতা আছে – আমরা হাল ছাড়ি না, আজও তারই প্রমাণ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *