ফারিয়া তাসনিম জ্যোতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর। তিনি গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি খোলা ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ হন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বাস্তুহারা (শালিকচূড়া) এলাকার একটি জলাধার থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন।
জ্যোতি ঢাকার মিরপুর সেক্টর ১০-এর বাসিন্দা। তিনি ওষুধ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মণি ট্রেডিং-এ সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে কাজ করতেন। তার আদিবাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলায়।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাত ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকার ইমপেরিয়াল হাসপাতালের সামনে ঘটনাটি ঘটে। কাজের সুবাদে জ্যোতি ওই এলাকায় গিয়েছিলেন। হাসপাতালের কাছে হেঁটে যাওয়ার সময় তিনি একটি খোলা ম্যানহোলে পড়ে যান।
স্থানীয়রা উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। রাত ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান চালায়, কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে তা স্থগিত করা হয়।
পরদিন সোমবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু হয়, যেখানে সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশ সহায়তা করে।
উদ্ধারকর্মীরা হোসেন মার্কেট থেকে গাজীপুরা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ম্যানহোল কভার খুলে অনুসন্ধান চালান। পরে, আশপাশের খাল ও জলাশয়ে ডুবুরিরাও তল্লাশি চালান, কিন্তু সন্ধ্যায় আবার অভিযান স্থগিত করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে ফের শুরু হয় উদ্ধার অভিযান, এবং অবশেষে বাস্তুহারা (শালিকচূড়া) এলাকার একটি জলাশয়ের জলজ আগাছার নিচে থেকে জ্যোতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহিন আলম বলেন, “২০ সদস্যের একটি দল উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। ৩৬ ঘণ্টা পর আমরা নিখোঁজ নারীর মরদেহ উদ্ধার করি।”
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এ ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সিটি কর্পোরেশনের সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিতে ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধি রয়েছেন। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।