২০২৪ সালের ১ আগস্ট গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজত থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে মুক্তি দেওয়া হয়। ছয় দিন আটক থাকার পর তাদের ডিবি কার্যালয় থেকে গাড়িতে করে নিজ নিজ বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। মুক্তি পাওয়া ছয়জনের মধ্যে তিনজন ছয় দিন, দুজন পাঁচ দিন এবং একজন চার দিন ডিবি হেফাজতে ছিলেন।
মুক্তির পর আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় লেখেন, ‘ছয়জনকে ছয় দিন আটকে রাখা যায়, কিন্তু বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে আটকে রাখা যাবে না। যত দিন গণগ্রেফতার, জুলুম-নির্যাতন চলবে, তত দিন আন্দোলন চলবে।’
একই দিনে সকাল ১১টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে শিল্পীদের মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষিত থাকলেও পুলিশি বাধার মুখে তারা খামারবাড়ি মোড়ে আটকে যান। পরে ফার্মগেট সেজান পয়েন্ট এলাকায় বৃষ্টিতে ভিজেই রাজপথে ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে স্লোগান দেন শিল্পীরা।
এইদিন বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দল দুটি সাম্প্রতিক সহিংসতায় সরাসরি জড়িত এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ সরকারের হাতে রয়েছে। ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ১৮(১) ধারা অনুযায়ী এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।