আবু শিহাবুত তালহা,
শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
প্রায় দেড় যুগ ক্ষমতায় থেকেও বগুড়ার উন্নয়নে কোনো দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে পারেননি শেখ হাসিনা। বরং এই দীর্ঘ সময় জুড়ে জেলার অবকাঠামো, শিক্ষা, ক্রীড়া এবং কর্মসংস্থানে ছিল অবহেলা আর বঞ্চনার ছাপ। স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, মেজর জিয়া-জন্মভূমি হওয়ায় বগুড়ার প্রতি শেখ হাসিনার একধরনের ক্ষোভ কাজ করেছিল।
চাকরির সুযোগে বৈষম্য
দাবি উঠেছে, বগুড়ার নাম শুনলেই চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হতেন এখানকার তরুণ-তরুণীরা। কেন্দ্রীয় প্রশাসনে চাকরির সুযোগে তাদের ঠকানো হয়েছে বারবার। অন্য জেলার তুলনায় এখানকার যোগ্য প্রার্থীরা রাজনৈতিক কারণে বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের অবহেলা
বগুড়ার গর্ব শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম একসময় আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু গত ১৬ বছরে স্টেডিয়ামটি ছিল অযত্নে ও অবহেলায় পড়ে। কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন তো দূরের কথা, নিয়মিত ঘরোয়া লিগও চলেনি সঠিকভাবে। ক্রীড়া সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এখানকার ক্রীড়াবিদরাও।
উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত বগুড়া
রাস্তা, অবকাঠামো, শিল্পায়ন কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—কোনো ক্ষেত্রেই বগুড়া উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন দেখেনি। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বগুড়া উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
হাসিনার ক্ষোভই মূল কারণ?
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মেজর জিয়া ও বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত বগুড়ার প্রতি শেখ হাসিনার ক্ষোভই ছিল জেলার অবহেলার বড় কারণ। বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হওয়ার কারণে বগুড়াকে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।