বিধিনিষেধে ফেসবুক গ্রুপ, যা জানা প্রয়োজন

সারাবিশ্বের কয়েকটি দেশের হাজারো ফেসবুক গ্রুপকে আগাম নির্দেশনা ছাড়াই বন্ধ করে দিয়েছে মেটা। কয়েক হাজার ফেসবুক গ্রুপের সব ধরনের কাজ বন্ধ হওয়ায় গ্রুপ সদস্য ও প্রশাসকরা পড়েছেন উৎকণ্ঠায়। বিধিনিষেধে পড়া অনেক ফেসবুক গ্রুপ প্রশাসকরা অভিযোগ করেছেন, সন্ত্রাস আর নগ্নতাসংশ্লিষ্ট কনটেন্ট প্রচারের কারণ দেখিয়ে ওই সব গ্রুপের পরিচালনা আপাতত বন্ধ রয়েছে। মেটা কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রধানত কারিগরি ত্রুটির কারণে ফেসবুক গ্রুপগুলো বিধিনিষেধের মধ্যে পড়েছে। জানানো হয়, মেটার ডেভেলপ টিম দ্রুত সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে।অ্যালগরিদমে কারিগরি ত্রুটির নেপথ্যে কেনাকাটায় মূল্যছাড়ের খোঁজখবর, বাবা-মাকে সহায়তা, বিশেষ কি-বোর্ড, পোষা প্রাণীর যত্ন, গেমিং, পোকেমন বা ইন্টেরিয়র ডিজাইন নিয়ে কাজ করা গ্রুপ মূলত নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে।কারিগরি ত্রুটির ব্যাখ্যায় কর্তৃপক্ষ বলছে, ত্রুটির ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। যা কিছু ফেসবুক গ্রুপকে প্রভাবিত করে, তা নিয়ে আমরা সব সময় সক্রিয়। সমস্যার দ্রুত সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছি।সাময়িক ত্রুটির কারণে কিছুসংখ্যক গ্রুপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এটি সত্য।বিষয়টি ফেসবুকের স্বনিয়ন্ত্রিত মডারেশন পদ্ধতির সঙ্গে কতটুকু সাংঘর্ষিক ছিল, তা পরে জানানো হবে। যেন অন্যসব গ্রুপ এ বিষয়ে সতর্ক হতে পারে। বিধিনিষেধে পড়া কয়েকটি গ্রুপের প্রশাসকরা বলছেন, হুট করে পরিচালিত তাদের সব গ্রুপকে আগাম সতর্ক না করেই নিষিদ্ধ করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। অনেকে বলছেন, সন্ত্রাসজনিত কোনো কনটেন্ট না হওয়া সত্ত্বেও তাদের গ্রুপে সন্ত্রাস বা বিপজ্জনক সংগঠনের প্রচারে যুক্ত থাকায় তারা অভিযুক্ত হয়েছেন। আবার অনেকে বলেছেন, তারা ভেরিফায়েড সাবস্ক্রিপশন কেনার কারণে প্রায়োরিটি গ্রাহক হিসেবে সহায়তা পেয়েছেন। সাময়িক বন্ধ থাকার পর কিছু গ্রুপ আবার সচল হয়েছে। সতর্কবার্তা ছাড়াই হুট করে হাজারো ফেসবুক গ্রুপ বিধিনিষেধের আওতায় পড়লে অনেকের ব্যবসা ও পরিষেবা ক্ষতির মধ্যে পড়ে।ইতোমধ্যে ভুক্তভোগী কয়েক হাজার ফেসবুক প্রশাসক আইনি লড়াইয়ের জন্য একযোগে পিটিশন করেছেন।

Share this post:

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *