বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ভোরে বোরহান উদ্দিন উপজেলা থেকে মামলার ২ নম্বর আসামি তজুমদ্দিন উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সময়ে নোয়াখালির হাতিয়া থেকে প্রধান আসামি যুবদলকর্মী মো. আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে ওই মামলার সাত আসামির মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হলো। তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহব্বত খান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোররাতে বোরহান উদ্দিন উপজেলা থেকে আসামি তজুমদ্দিন ও নোয়াখালির হাতিয়া থেকে প্রধান আসামি মো. আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে গত ৩০ জুন ৩নং আসামি ঝর্ণা বেগমকে পুলিশ ও ৫নং আসামি রাসেলকে বুধবার (২ জুন) র্যাব-৮ গ্রেফতার করে।
ওসি আরও জানান, গ্রেফতার এড়াতে আসামিরা প্রত্যন্ত চর এলাকায় পালিয়ে ছিলেন। মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।উল্লেখ্য, তজুমউদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের মাওলানা কান্দি গ্রামে স্ত্রী ঝর্ণা বেগমের বাড়িতে মো. রুবেল ও তার প্রথম স্ত্রী নির্যাতনের শিকার হন। এর এক পর্যায়ে প্রথম স্ত্রী ২৯ জুন দুপুরে গণধর্ষণেরও শিকার হন। এ ঘটনায় ৩০ জুন মো. রুবেল সাতজনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণ ও নির্যাতনের মামলা করেন। পুলিশের অব্যাহত অভিযানে এই মামলায় অবশেষে প্রধান আসামিসহ চারজন গ্রেফতার হয়।