দীর্ঘ হচ্ছে কুয়েটের অচলাবস্থা!

চার মাস ধরে বন্ধ রয়েছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম। দুই মাস ধরে নেই উপাচার্যও। এতে প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এরইমধ্যে সেশনজটে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, তালা ঝুলছে প্রতিটি শ্রেণি কক্ষে। ধুলোর আস্তরণ জমে আছে চেয়ার-টেবিলে। ক্যাম্পাসেও শুনশান নীরবতা, নেই প্রাণচাঞ্চল্য।

জানা গেছে, চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হন শতাধিক শিক্ষার্থী। এরপর থেকে শিক্ষার্থীদের অনশন, উপাচার্যের পদত্যাগ, শিক্ষকদের কর্মবিরতিসহ একের পর এক ঘটনায় সংবাদের শিরোনাম হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৫ এপ্রিল কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে পহেলা মে  চুয়েটের অধ্যাপক মো. হযরত আলীকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব দিলেও সমাধানে পৌঁছানো যায়নি। নানামুখী চাপে ২২ মে পদত্যাগ করেন তিনিও। এরপর থেকে কার্যত অভিভাবক শূন্য এই ক্যাম্পাস।

এরআগে, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ মে একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর কথা থাকলেও শিক্ষক লাঞ্ছনার বিচার না হওয়ায় শ্রেণিকক্ষে ফেরেননি কোনো শিক্ষক। দীর্ঘসময় ধরে এমন অচলাবস্থায় সেশনজটসহ কর্মজীবনে প্রবেশের অনিশ্চয়তায় হতাশায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, দুই মাস ধরে ১২০০ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন অনেকেই।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ফেরাতে শিক্ষক সমিতি অনড় তাদের অবস্থানে রয়েছে।

কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ফারুক হোসেন বলেন, ‘যোগ্য উপাচার্য নিয়োগের মাধ্যমে সবপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারলেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

কুয়েটের ৪টি অনুষদের ২০টি বিভাগে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৭ হাজার।

Share this post:

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *