যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সরকারে জন্য বেকারত্বকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, গত বছরের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণঅসন্তোষের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল বেকারত্ব।
“বেকারত্ব দূর করা আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ লক্ষ্যেই কাজ করছে,”—বলেন উপদেষ্টা আসিফ। তিনি বৃহস্পতিবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত “যুব উদ্যোক্তা: বিনিয়োগ ও নীতি” শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা তরুণদের উদ্যোক্তা ঋণ দিচ্ছি। এই ঋণের জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও কার্যকর ও সহজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যেন আরও বেশি তরুণ তাদের স্টার্টআপ শুরু করতে এই সুবিধা নিতে পারেন।”
তিনি আরও জানান, “এই স্কিমের আওতায় সর্বোচ্চ ঋণের পরিমাণ ২ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।”
আসিফ মাহমুদ বলেন, “যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের নেতৃত্বে প্রণীত যুব উদ্যোক্তা উন্নয়ন নীতি-২০২৫ উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত হয়েছে এবং শিগগিরই এটি বাস্তবায়ন করা হবে।”
তিনি এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রেক্ষাপটে বলেন, “আমাদের দেশের ৬৩ শতাংশ জনসংখ্যা তরুণ। আমরা যদি এই বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠীকে কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত করতে না পারি, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাগুলি বিপন্ন হবে। আমাদের বাস্তবতা বুঝে তরুণ উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে হবে।”
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফায়েজ আহমদ তাইয়েব বলেন, “বাংলাদেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম স্বাভাবিকভাবে গড়ে ওঠেনি।”
“এখন আমরা শূন্য থেকে শুরু করে এটি গড়ে তোলার চেষ্টা করছি,”—বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “এই কাজটি স্কুলপর্যায় থেকেই শুরু করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের একটি সুগঠিত পাইপলাইন তৈরি করতে হবে, যেখানে গ্রামীণ তরুণরাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।”
“এই কাজটি কৌশলগতভাবে করতে হবে। আমাদের প্রচেষ্টাকে খণ্ডিতভাবে ভাগ করে পরিকল্পিতভাবে এগোতে হবে,”—বলেন তিনি।