ভাতের মাড়ের ব্যবহারে চুলের বৃদ্ধি

ছিপছিপে গড়ন পেতে ভাত খাওয়া প্রায় ভুলতে বসেছেন স্বাস্থ্যসচেতন তরুণীরা। ডায়েট করবেন বলে অনেকের ভাত খাওয়া একেবারে বন্ধ হবার উপক্রম। তবে যাই হোক ভাতের গন্ধ ভোলার নয়। বাঙালিদের অস্থিমজ্জায় মিশে আছে ভাত। বিভিন্ন কারণে আপনাকেও কিন্তু ফিরতে হবে সেই ভাতের কাছে।

জানেন কি, ভাত যেমন মোটা করে দিতে পারে তেমনি ত্বকের সৌন্দর্যও বাড়াতে পারে। অল্প সময়েই চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সাহায্য করে ভাতের মাড় বা ফ্যান। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ফেলা যায় ভাতের মাড়। ভাত ঝরঝরে করতে ভালো করে ভাতের মাড় ঝরিয়ে নেন কমবেশি সবাই। তবে ত্বক থেকে চুলের যত্নে কাজে লাগিয়ে দেখুন ভাতের মাড়। ফল মিলবে ম্যাজিকের মতো। 

উপকারিতা- 

ভাতের ফ্যানে কার্বোহাইড্রেট অর্থাৎ ইনোসিটল থাকে যা চুলের ঘর্ষণকে হ্রাস করে গোড়া থেকে শক্তিশালী করে তোলে। এছাড়া এতে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যার কারণে চুল চকচকে করে তোলে। এর পাশাপাশি নমনীয়ও হয়ে ওঠে।

চুলের পাশাপাশি ত্বকের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ফ্যান। ভাতের মাড় ঠাণ্ডা করে তুলা দিয়ে মুখের ও হাত-পায়ের রোদে পোড়া অংশে নিয়মিত মাখাতে পারলে বাড়বে ত্বকের উজ্জ্বলতা। এই পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিতে পারলে ত্বক থাকবে সতেজ, বজায় থাকবে ত্বকের আর্দ্রতা। এছাড়াও ত্বকের হাইপার পিগমেন্টেশন আর ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া ঠেকাতে ভাতের মাড় অত্যন্ত কার্যকরী।

আসুন জেনে নিই কীভাবে ব্যবহার করবেন-

আপনার চুলের যত্নের জন্য মাড় বা ফ্যান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা খুশকির সমস্যায় ভুগছেন, তারা প্রতিদিন ফ্যান দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহখানেক ফ্যান ব্যবহার করলে আপনি ওই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বাধ্য। এছাড়াও ফ্যানের সঙ্গে অ্যাভোকাডো দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে পারেন। সুন্দর চুল পেতে ওই মিশ্রণ অবশ্যই কাজে লাগান।

গোসল করার সময় সবার আগে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এর পর ওই ভাতের ফ্যান বা মাড় ভালো করে ম্যাসাজ করুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত রেখে দিন। এর পর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে সপ্তাহে কমপক্ষে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করুন। কয়েক মাসের মধ্যে আপনি নিজের ফলাফল পাবেন।

Share this post:

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *